আর পাঁচজন বাবা মায়ের যেমন সাধ থাকে তেমনটাই ভেবেছিলেন ঝাড়খণ্ডের ধানবাদের ঝরিয়ার ওই যুবকের অভিভাবকরা। ছেলে সরকারি চাকরি করবেএমনটাই ইচ্ছা ছিল মায়ের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সরকারি চাকরি পায়নি ছেলে। কিন্তু সরকারি চাকরির ভান করে স্টেশনে স্টেশনে ঘুরে বেড়াত সে। অবশেষে রেলপুলিশের হাতে ধরা পড়ে গেল ওই কীর্তিমান। এদিকে আরপিএফ ইতিমধ্যে তার কাছ থেকে তিনটি পরিচয়পত্র পেয়েছে। প্রাথমিকভাবে রেলপুলিশ জেনেছে, তিনটি পরিচয়পত্রই ভুয়ো। সেখানে যে নাম উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলিও ঠিক নয়।
পুলিশ ইতিমধ্যেই তাকে জেরা করছে। সূত্রের খবর সে কখনও নিজেকে স্টেশন ম্যানেজার কখনও আবার টিকিট পরীক্ষক বলে নিজেকে পরিচয় দিত। আবার তার নামও বদলে ফেলত যখন তখন। কখনও তিনি তন্ময় কর. কখনও আবার সনাতন হালদার। এদিকে তার আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও সার্টিফিকেটেও আলাদা নাম রয়েছে। এনিয়ে সন্দেহ আরও জোরালো হয়েছে। কিন্তু এভাবে ভুয়ো পরিচয়পত্র দেখিয়ে ঠিক কী করত ওই যুবক?
সূত্রের খবর, আসানসোল স্টেশন থেকে তাকে ধরা হয়েছে। স্টেশন ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে আসানসোল স্টেশনের সুলভ শৌচালয়ে তোলাবাজির চেষ্টা করছিল সে। তখনই তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে রেলপুলিশ। এদিকে যুবকের দাবি, সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য মা তাকে বার বার বলেছিল। মায়ের মন রাখতেই সে গত ৬ মাস ধরে এভাবে রেলকর্মী সেজেছিল। তবে রেলকর্তৃপক্ষের দাবি সে রেলের সঙ্গে কোনওভাবে যুক্ত নয়।