২০১৮ সালে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে তেলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। অশোকনগরের ৫.৮৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ওই তেল রয়েছে বলে জানায় ওএনজিসি। এরপর ২০২০ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত নাকি ১৯টি চিঠি রাজ্য সরকারকে দিয়েছে কেন্দ্র। তবে সেই সব চিঠির সাড়া না দেওয়ায় অশোকনগর থেকে তেল উত্তোলন করা যাচ্ছে না। সংসদে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী। উল্লেখ্য, এই নিয়ে সংসদে সম্প্রতি প্রশ্ন করেছিলেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। সেই প্রশ্নের জবাবেই এই তথ্য দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। (আরও পড়ুন: জানুয়ারিতে রাজ্য ডিএ বাড়াবে, এরপর বাজেটেও থাকবে 'চমক', ৪ কিস্তিতে মিলবে বকেয়া)
আরও পড়ুন: কলকাতাতেও আকাশ থাকবে মেঘলা, বৃষ্টি কি হবে? ফের পারদ নামবে কবে?
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব আনতে নোটিশ সৌগত রায়ের, 'অসন্তুষ্ট' মমতা: রিপোর্ট
কেন্দ্রের তরফ থেকে এই ইস্যুতে দাবি করা হয়েছে, রাজ্যের কাছ থেকে অশোকনগরের পেট্রোলিয়াম মাইনিং লিজ নিতে মোট ১৯টি চিঠি পাঠানো হয়েছে মমতার সরকারের কাছে। এর মধ্যে থেকে ১৪টি চিঠি পাঠিয়েছিল ওএনজিসি। এদিকে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকও ৩টি চিঠি পাঠিয়েছিল রাজ্য সরকারকে। এছাড়া বাকি ২টি চিঠি পাঠিয়েছিলেন ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ হাইড্রোকার্বন। তবে কোনও চিঠিরই নাকি জবাবেই নাকি সাড়া দেয়নি রাজ্য। উল্লেখ্য, পেট্রোলিয়াম দেশের সম্পত্তি হিসেবেই বিবেচিত হয়ে থাকে। তবে যে রাজ্যের মাটির তলায় সেই তেল থাকে, সেই রাজ্যের থেকে খননের জন্যে পেট্রোলিয়াম মাইনিং লিজ নিতে হয়। সেই প্রয়োজনীয় অনুমতি না পাওয়ার জেরেই আজও অশোকনগর থেকে ওএনজিসি তেল উত্তোলন করতে পারেনি। (আরও পড়ুন: জেলে ভরেই খান্ত হল না বাংলাদেশ, চিন্ময় প্রভুর বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপের ঘোষণা)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ওঠে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ, মুখ খুলল সেই সেনা
এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে আরও দাবি করা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে তেলের খনির পিছনে ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার ১০৪৫.৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। যদি এখানে খননকার্যের মাধ্যমে মাটির তলা থেকে তেল উত্তোলন শুরু করা যায়, তাহলে বছরে পশ্চিমবঙ্গের আয় হতে পারে ৮১২৬ কোটি টাকা। এদিকে শুধু অশোকনগর নয় রানাঘাট, কাঁকপুলের মতো আরও অন্তত ৯৯.০৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় খনিজ তেল রয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রের। এই আবহে সেই সব জায়গাতেও খননের জন্যে রাজ্যের অনুমতি চেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সংসদে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, এই সব জায়গায় তেল উত্তোলনের কাজ শুরু হলে বাংলায় প্রচুর কর্মসংস্থানও হবে।