মালদার কালিয়াচক হত্যাকাণ্ডে গোয়ান্দাদের হাতে এল আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। তাঁদের দাবি, বাবা-মা-বোন ও ঠাকুমাকে খুনের পর তাঁদের দেহ অ্যাসিডে গলিয়ে ফেলার পরিকল্পনা ছিল খুনি আসিফের। ধৃতের ঘর থেকে রাসায়নিক উদ্ধারের পর এমনই সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। তবে শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি তার এই পরিকল্পনা।
কালিয়াচক কাণ্ডে ধৃত আসিফের বন্ধু সাব্বিরের বাড়ি থেকে আগেই উদ্ধার হয়েছিল মার্বেল ও প্লাই উড। তার পর আসিফের ঘর থেকে উদ্ধার হল রাসায়নিক। গোয়েন্দাদের অনুমান ব্রিটিশ সিরিয়াল কিলার জন হেইয়ের অনুকরণে দেহগুলি গলিয়ে ফেলতে চেয়েছিল আসিফ। এই ধরনের হত্যাকে বলা হয় অ্যাসিড বাথ মার্ডার। আসিফ যে এব্যাপারে জানত তার প্রমাণও মিলেছে তার ল্যাপটপ থেকে।
গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, সত্যিই দেহ গলিয়ে ফেলার পরিকল্পনা ছিল কি না আসিফের জানতে উদ্ধার হওয়া দেহাবশেষগুলির বিশেষ পরীক্ষা করাবে তারা। দেহের মাংসপেশির নমুনা পরীক্ষা করে দেখা হবে তার মধ্যে কোনও অস্বাভাবিক রাসায়নিকের উপস্থিতি রয়েছে কি না। এমনকী যে গর্তগুলিতে দেহগুলি পুঁতে রাখা ছিল তার আসেপাশের মাটিও পরীক্ষা করবেন তাঁরা।
ওদিকে মঙ্গলবার মালদা আদালতে গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন আসিফের ভাই আরিফ ও তাঁর মামা। এই হত্যাকাণ্ডে আশ্চর্যকরমভাবে বেঁচে যায় আরিফ। আসিফকে শাস্তি দিতে তাঁর বয়ানকেই হাতিয়ার করতে চলেছেন গোয়েন্দারা।