করোনা পরিস্থিতিয়ে অনেকেই যখন গৃহবন্দি তখনও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোগীর পাশে দাঁড়িয়েছেন চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা। করোনাকালে সংক্রামিত হয়ে একাধিক চিকিৎসকের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। কিন্তু তারপরেও হাল ছাড়েননি তাঁরা। তবুও রোগী মৃত্যুর জেরে সেই চিকিৎসককেই বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে মৃতের পরিজনদের বিরুদ্ধে। হুগলির পান্ডুয়ার গ্রামীণ হাসপাতালের এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে একেবারে শোরগোল স্বাস্থ্য দফতরের অন্দরে। তবে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অভিযোগ ,পুলিশকে বার বার বলা সত্ত্বেও তারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে মঙ্গলবার স্বাস্থ্যকর্মীরা কালো ব্যাজ পরে কর্মবিরতি পালন করেন। জরুরী পরিষেবা ছাড়া বাকি সব বিভাগের পরিষেবা আপাতত বন্ধ থাকে। এর জেরে সমস্যায় পড়ে যান রোগী ও তাঁদের পরিজনরা।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, সোমবার শেখ ইসমাইল নামে এক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। বুকে ব্যাথা ছিল তাঁর। চিকিৎসাও চলছিল। আচমকাই ঘণ্টাখানেকের মধ্যে তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরই মৃতের পরিজনরা চিকিৎসক শিবশঙ্কর রায়কে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। চিকিৎসকদের একাংশের অভিযোগ,' চিকিৎসককে মারধর করা হল। কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিল না। করোনা পরিস্থিতিতে ঝুঁকি নিয়েও ডিউটি করছি। অথচ পুলিশ, প্রশাসন আমাদের অভিযোগের কোনও গুরুত্ব দিচ্ছে না।' তবে গোটা ঘটনায় থানা মুখ খুলতে চায়নি।