রবিবার ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু হল বাঘিনী জিনাত। বনদফতরের জালে ধরা পড়ল বাঘিনী। গত কয়েকদিন ধরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল বাঘিনী। বলা ভালো কার্যত ঘোল খাওয়াচ্ছিল বনদফতরকে। বাঁকুড়ার জঙ্গলে ডেরা নিয়েছিল বাঘিনী। বনদফতর কার্যত সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সেটিকে ধরতে।
এদিকে সূত্রের খবর, রবিবার তিনটের পরে ঘুমপাড়ানি গুলি করা হয়। এরপর কাবু হয় বাঘিনী। এরপর অত্যন্ত সন্তর্পনে বাঘিনীকে গোঁসাইডিহি এলাকায় জালে পোরা হয় । প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে সেই বাঘিনী সুস্থ রয়েছে। তাকে পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে।
ওড়িশার সিমলিপালের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে পড়েছিল। এরপর একের পর এক জঙ্গল পেরিয়ে যাচ্ছিল। অবশেষে ধরা পড়ল বাঁকুড়ার জঙ্গলে। বহু চেষ্টার পরে।
সূত্রের খবর, বাঘ ধরার কাজে নিয়োজিত এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, বাঘিনী আপাতত সুস্থ রয়েছে। বাঘিনীকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বাঘ আমরা ধরেছি। গত ৮দিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় বাঘটা ছিল। বিভিন্ন টিম কাজ করছিল। অবশেষে বাঘটি ধরা পড়েছে।
এদিকে এই বাঘিনীকে ধরতে না পারাটা কার্যত বনদফতরের কাছে মর্যাদার লড়াই। বার বার বাঘবন্দির কাজে ফেল করছিল বনদফতর। অবশেষে ধরা পড়ল বাঘিনী। খাঁচাবন্দি হল।
কার্যত জঙ্গলমহল সফরে বেরিয়েছিল বাঘিনী। নাকানিচোবানি খাচ্ছিল বনদফতর। ড্রোন ওড়ানো হচ্ছিল। খাঁচা পাতা হচ্ছিল। একের পর এক ব্যাঘ্র বিশেষজ্ঞরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। জাল দিয়ে ঘেরা হচ্ছিল জঙ্গল। আগুন জ্বালানো হচ্ছিল। কিন্তু কাজ কিছুতেই হচ্ছিল না। অবশেষে শনিবার রাত থেকে একেবারে আদাজল খেয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে বনদফতর। অবশেষে রবিবার ধরা পড়ল বাঘিনী জিনাত।
কিছুদিন আগে পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের রাইকার জঙ্গলে বাঘিনী ছিব বলে খবর। তাকে ধরার জন্য় ফাঁদও পাতা হয়েছিল। কিন্তু কিছুতেই সেই বাঘিনীকে জালে পোরা যাচ্ছিল না।
এর আগে ওই বাঘিনী জঙ্গলে চরতে যাওয়া ছাগলে পেট ভরিয়েছিল বলে খবর। কিন্তু রোজই যে সে জঙ্গলে চরতে যাওয়া ছাগলে পেট ভরাচ্ছিল তেমনটা নয়। আবার টোপের ধারে কাছে আসছিল না। সেক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছিল বাঘিনী তার নাগালের মধ্যে এমন কিছু জন্তুকে পেয়ে যাচ্ছে যেটা শিকার করে সে পেট ভরিয়ে ফেলছে। সেকারণে বাঘিনী টোপের ধারে কাছে আসছে না। ট্র্যাপ ক্যামেরাতেও তেমন কিছু ধরা পড়ছিল না।
তবে বনদফতরের আরও একটা আশঙ্কার বিষয় ছিল যদি লোকালয়ে বাঘিনী ঢুকে পড়ে তাহলে আরও বিপদ। সেকারণে জঙ্গল যেখানে শেষ হচ্ছে সেই সমস্ত এলাকা জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছিল। সেই সঙ্গে বাঁকুড়া থেকে হুলা পার্টি নিয়ে আসা হয়েছিল। তাদের উপর মূল দায়িত্ব ছিল বাঘিনী যাতে লোকালয়ে ঢুকে না পড়ে সেটা নিশ্চিত করা।
এদিকে গত কয়েকদিন ধরে এই বাঘিনীকে বাগে আনতে কার্যত নাকানিচোবানি খাচ্ছিল বনদফতর। তবে অবশেষে বাঘিনীকে বাগে আনা সম্ভব হল। হাঁফ ছেড়ে বাঁচল বনদফতর।