করোনার প্রকোপে কাঁপছে গোটা চন্দননগর। শহরের উর্দিবাজার এলাকায় ৪৮ ঘণ্টায় খোঁজ মিলেছে ১৪ জন করোনা রোগীর। যার ফলে হুগলি জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৪-তে। পুরসভার একাধিক ওয়ার্ড সিল করে দিয়েছে প্রশাসন। তবে তাতেও আতঙ্ক কাটছে না স্থানীয়দের মধ্যে।
গত সপ্তাহে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে তৃণমূলের স্থানীয় সংখ্যালঘু সেলের সভাপতির শরীরে। এর পরই চরম আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। জানা যায়, লকডাউনের পরোয়া না করে ওই তৃণমূল নেতা লোকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ বিলি করেছেন। সঙ্গে স্থানীয় একটি লঙ্গরের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি।
এই খবর জানতেই এলাকাবাসীকে বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধ করে প্রশাসন। কিন্তু তাতেও দুর্যোগ এড়ানো গেল না। উর্দিবাজারের ঘরে ঘরে এখন খোঁজ মিলছে করোনা রোগীর।
বৃহস্পতি ও শুক্রবার উর্দিবাজারে অন্তত ১৪ জন করোনা রোগীর খোঁজ মিলেছে। স্থানীয়রা বলছেন, সংখ্যাটা অন্তত ১৬। জানা গিয়েছে, মোট ৭টি পরিবার থেকে মিলেছে এই রোগী। সংখ্যা যাই হোক না কেন উর্দিবাজার ও সংলগ্ন এলাকা টিনের বেড়া দিয়ে ঘিরে দিয়েছে প্রশাসন। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্থানীয় সব বাজার। এলাকার বহু মানুষকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। বাড়ি থেকে না বেরনোর জন্য লাউড স্পিকারে প্রচার করছে পুলিশ।
বলে রাখি, হুগলি জেলার প্রথম করোনা রোগী ছিলেন শ্যাওড়াফুলির বাসিন্দা। গত মাসে মৃত্যু হয় তাঁর। এর পর হুগলি জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্ন ভাবে কয়েকজন করোনা রোগীর খোঁজ মিলছিল। তবে প্রকোপ মূলত ছিল শ্রীরামপুর মহকুমা কেন্দ্রিক। এবার সংক্রমণের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে চন্দননগর। আর একই এলাকা থেকে মিলছে বহু রোগীর খোঁজ। যাতে স্থানীয় সংক্রমণের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।