ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’-র জেরে প্রাথমিকভাবে ১৭৮টি ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হল। ইস্ট-কোস্ট রেলওয়ের (পূর্ব উপকূলীয় রেল) তরফে জানানো হয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের জেরে বুধবার থেকে বিভিন্ন ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। বাতিল করে দেওয়া হয়েছে বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবারের একগুচ্ছ ট্রেন। এমনকী আগামী শনিবার এবং আগামী ২৯ অক্টোবরের ট্রেনও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। যে তালিকায় হাওড়া-ফলকনুমা এক্সপ্রেস, শালিমার-পুরী ধৌলি এক্সপ্রেস, হাওড়া-ভুবনেশ্বর জনশতাব্দী এক্সপ্রেস, শালিমার-হায়দরাবাদ ইস্ট-কোস্ট এক্সপ্রেস, হাওড়া-তিরুচিরাপল্লি সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস, হাওড়া-চেন্নাই মেল, শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমণ্ডল এক্সপ্রেস, শালিমার-পুরী শ্রী জগন্নাথ এক্সপ্রেস, শালিমার-পুরী গরিবরথ এক্সপ্রেস, নয়াদিল্লি-পুরী পুরষোত্তম এক্সপ্রেস, হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মতো অসংখ্য ট্রেন আছে। সেইসঙ্গে ওইসব রুটের বিভিন্ন ডাউন ট্রেনও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
কোন কোন ট্রেন বাতিল করা হয়েছে?
ওড়িশা ও বাংলার দিকেই আসছে ঘূর্ণিঝড়
ভারতীয় মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপরে গভীর নিম্নচাপ অবস্থান করছে। যা পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বুধবারের মধ্যে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপরেই ঘূর্ণিঝড় 'দানা'-য় পরিণত হবে। তারপর আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাবে। বাড়াতে থাকবে শক্তি। আর বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপরে প্রবল ঘূর্ণিঝড় পরিণত হবে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই উত্তর ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূল পার করবে 'দানা'। ভারতীয় মৌসম ভবনের তরফে জানানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত এবং শুক্রবার সকালের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ এবং ওড়িশার পুরীর মধ্যে দিয়ে উপকূল পার করবে।
১২০ কিমি বেগে তাণ্ডব চালাতে পারে ‘দানা’
ঠিক কোথায় ল্যান্ডফল হবে, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। কিন্তু উপকূল পার করার সময় রীতিমতো তাণ্ডব চালাবে ঘূর্ণিঝড়। ‘দানা’ যখন উপকূল পার করবে, তখন ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার থেকে ১১০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। আর দমকা হাওয়ার বেগ ১২০ কিমি ছুঁয়ে ফেলতে পারে।
বিভিন্নরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে রেলের তরফে
সেই পরিস্থিতিতে রেলের তরফে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। পূর্ব রেলের তরফে ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে, হাওড়া এবং শিয়ালদা ডিভিশনে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। খোলা হচ্ছে জরুরি কন্ট্রোল রুম। যাতে লাইনে জল না জমে, সেজন্য গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পাম্প বসানো হচ্ছে। বিদ্যুৎ চলে গেলেও যাতে ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত না হয়, সেজন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে। আপাতত দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে আলাদাভাবে কিছু জানানো হয়নি।