মালদায় তৃণমূলি পঞ্চায়েত প্রধান লাভলি খাতুনের ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল হওয়ার পর উঠল আরও বিস্ফোরক অভিযোগ। মালদা জেলায় বিভিন্ন ব্লকে রমরমিয়ে জাল সার্টিফিকেটের কারবার চলছে বলে দাবি করে মামলা হল হাইকোর্টে। সেই মামলায় মহকুমাশাকদের তদন্ত করে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। অভিযোগ, তদন্তের অগ্রগতির ব্যাপারে মামলাকারীকে কিচ্ছু জানাননি মহকুমাশাসকরা। ওদিকে বহাল তবিয়তে চাকরি করে যাচ্ছেন জাল সার্টিফিকেটধারী ব্যক্তিরা।
মামলাকারী গৌরাঙ্গ মণ্ডলের দাবি, মালদা জেলা জুড়ে রমরমিয়ে জাল সার্টিফিকেটের কারবার চলছে। বাংলাদেশ থেকে এসে অনুপ্রবেশকারীরা স্থানীয় নেতাদের একাংশের মদতে তৈরি করে ফেলছে জাল এসসি ও ওবিসি সার্টিফিকেট। প্রশাসনিক আধিকারিকদের একাংশও যুক্ত তার সঙ্গে। জেলার বিভিন্ন সরকারি দফতরে চাকরি করছেন জাল সার্টিফিকেটধারীরা।
মামলাকারীর দাবি, মালদা জেলা জুড়ে অন্তত ৩০ জন এমন মানুষ সংরক্ষিত পদে সরকারি চাকরি করছেন যাদের সার্টিফিকেট জাল। তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বা পারিবারিক নথিতে কোথাও তাদের জাতির উল্লেখ নেই। হঠাৎ করে চাকরি পাওয়ার আগে তারা হয়ে গিয়েছেন তফশিলি জাতি বা উপজাতিভুক্ত। এদের মধ্যে রয়েছেন জয়েন্ট বিডিও, স্কুল শিক্ষক, প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। এছাড়াও বিভিন্ন পদে কর্মরত রয়েছেন তাঁরা। মামলাকারীর অভিযোগ, এই মামলায় মহকুমাশাসককে তদন্ত করে পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু প্রশাসনেরই একাংশ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকায় কোনও পদক্ষেপ করছেন না মহকুমাশাসক। তদন্তের অগ্রগতির ব্যাপারে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি তাঁকে।
দিন কয়েক আগে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের রসিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলি প্রধান লাভলি খাতুনের ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করেন মহকুমাশাসক। হাইকোর্টে দায়ের একটি মামলায় লাভলি খাতুনকে বাংলাদেশি নাগরিক বলে দাবি করা হয়েছিল। অভিযোগ অনুপ্রবেশ করে ভারতে এসে শাসকদলের মদতে একের পর এক জাল নথি বানিয়েছেন তিনি। তার পর বসে পড়েছেন পঞ্চায়েত প্রধানের পদে।