রুজির সন্ধানে পথে বেরিয়ে মর্মান্তিকভাবে হারাতে হল প্রাণ। পৌঁছানো হল না গন্তব্যে। শুক্রবার (২১ মার্চ, ২০২৫) ভোর রাতে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল চারজনের। গুরুতর জখম হলেন আরও অন্তত দু'জন। তাঁদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে দাবি সংশ্লিষ্ট সূত্রের। প্রাণঘাতী এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার বালিতে, নিবেদিতা সেতুর উপর দিয়ে যাওয়ার সময়।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, দুর্ঘটনার সময় পণ্যবোঝাই একটি চার চাকার ছোট গাড়ি বালির নিবেদিতা সেতুর উপর দিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময়েই ঘটে যায় ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা। শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, দুর্ঘটনাটি ঘটে নিবেদিতার সেতুর টোল ওয়ে লালবাড়ির ঠিক সামনে।
প্রাথমিকভাবে যতটুকু জানা গিয়েছে, তা হল - ঘটনায় মৃত ও আহতরা সকলেই হাটের ব্যবসায়ী। তাঁরা খুব সম্ভবত হাবরা থেকে আসছিলেন। তাঁদের গন্তব্য ছিল হাওড়ার অঙ্কুরহাটির হাট। ওই হাটেই পণ্য বিক্রি করতে যাচ্ছিলেন তাঁরা।
ছোট চার চাকার ওই গাড়িতে কাপড়ের পেটি বোঝাই করা ছিল বলে জানা গিয়েছে। সেই গাড়ির মাথাতেই বসেছিলেন মোট ছ'জন ব্যবসায়ী। নিবেদিতা সেতুর টোল ওয়ে লালবাড়ির সামনে হঠাৎই গাড়ির একটি চাকা ফেটে যায়। ফলে গাড়ির চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এর ফলে মালবোঝাই ছোট ওই গাড়িটি মুহূর্তে উলটে যায়।
সূত্রের দাবি, আচমকা এই ঘটনায় আর নিজেদের সামলানোর কোনও সুযোগই পাননি গাড়ির মাথায় বসে থাকা ছ'জন ছোট ব্যবসায়ী। তাঁরা গাড়ির মাথা থেকে ছিটকে নীচে পড়ে যান। কিন্তু, তাঁরা কেউই সেতুর উপর পড়েননি। তাঁরা পড়েন সেতুর রেলিং টপকে একেবারে নীচে! অর্থাৎ - তাঁরা সেতুর উপর থেকে ছিটকে প্রায় ৪০ ফুট নীচে পড়েন!
এই দুর্ঘটনার পর ওই ছ'জনকে উদ্ধার করে প্রথমে উত্তরপাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চারজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। অনুমান করা হচ্ছে, সেতু থেকে নীচে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের প্রাণ হারাতে হয়েছিল। বাকি দু'জনের অবস্থাও অত্যন্ত আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের অন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁরা।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে বালি থানার পুলিশ। তবে, শেষ পাওয়া খবর অনুসারে - এখনও পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় হতাহতদের মধ্যে কারও নাম ও বাড়ির ঠিকানা জানা যায়নি। পুলিশ তা জানার কাজ শুরু করেছে।