রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম কার্ডটি গত কয়েকমাস ধরেই বাড়িতে পড়েছিল। আচমকাই সেই এটিএম চালুর জন্য একটি ফোন আসে হাওড়ার ডোমজুড়ের বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ প্রামাণিকের কাছে। ব্যাঙ্ক থেকে বলা হচ্ছে বলে ফোনে দাবি করা হয়। এরপর তিনি দ্রুত ব্যাঙ্কে গিয়ে এটিএমটি চালু করে আসেন। এরপরই তাঁর কাছে আবার একটি ফোন আসে। সেখানে বলা হয় একটি নম্বর গিয়েছে ফোনে, সেটি বলার জন্য। আসলে সেটি ছিল ওটিপি। রবীন্দ্রনাথ প্রামাণিক সেই নম্বরটি জানিয়ে দেন। এরপর একের পর এক তাঁকে ফোন করা হয়। প্রতিবারই ব্যাঙ্কের আধিকারিক পরিচয় দিয়ে ফোন করা হয়। প্রতিবারই সরল বিশ্বাসে ওটিপি বলে দেন ওই যুবক। পরের দিনও তার কাছে ফোন আসে। ফের তিনি বলে দেন ওটিপি। এরপরই রবীন্দ্রনাথ জানতে পারেন তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ১ লক্ষ ৯৩ হাজার ৫০০ টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ প্রামাণিক বলেন, আমার ১ লক্ষ ৯৩ হাজার ৫০০ টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে। সারাজীবন খেটে বোনের বিয়ের জন্য যা সঞ্চয় করে রেখেছি সবটাই চলে গিয়েছে। এখন কী করব বুঝতে পারছি না। একটা ছোট সেলুন আছে আমার। ডোমজুড় থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। জানি না কী হবে। তাঁর বন্ধু বলেন, এটিএমের নানা দিক সম্পর্কে ওর জানা ছিল না। সব টাকা চলে গিয়েছে। ও যাতে টাকা ফেরৎ পায় তার ব্যবস্থা করা দরকার।
ট
ট