শনিবার রাত ১০টা। তখনও পুরোপুরি নিঝুম হয়ে যায়নি বেলঘড়িয়া, কামারহাটি এলাকা। ২২ নম্বর ওয়ার্ডে বিভার মোড় এলাকায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে অন্যান্যদিনের মতোই কয়েকজন তৃণমূল কর্মী বলেছিলেন। বাড়়ি ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তাঁরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, এমন সময়ে একেবারে ফিল্মি কায়দায় পার্টি অফিসে আসে প্রায় ২০ জন যুবক। ৭-৮টি বাইকে চেপে এসেছিল তারা। এরপরই পার্টি অফিসে ঢুকে একেবারে সরাসরি তারা চড়াও হয় দলীয় কর্মীদের উপর। এদিকে ঘটনার আকষ্মিকতায় প্রাথমিকভাবে কিছুটা ঘাবড়ে যান তৃণমূল কর্মীরা।
এদিকে সেই সময় তৃণমূল কর্মীদের উপর চড়াও হয় যুবকরা। এবার তারা টার্গেট করে মানস বর্ধন নামে এক তৃণমূল কর্মীকে। তাকে একেবারে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে খুব কাছ থেকে গুলি চালানো হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মানস বর্ধন নামে ওই যুবক।তাকে বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে ওল্ড নিমতা রোডে রাতে বোমাবাজি হয়েছে বলেও অভিযোগ। গণ্ডগোলের খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারাও একে একে জড়ো হতে শুরু করেন পার্টি অফিসের কাছে। এদিকে ততক্ষণে অভিযুক্ত যুবকরা চম্পট দিয়েছে।
ঘটনাস্থলে আসেন বিধায়ক মদন মিত্র। তিনি বলেন, ‘কামারহাটিতে ২০১৩ সালের পর থেকে গুন্ডাগিরি, দাদাগিরির প্রবণতা বেড়েছে। প্রমোটাররাজও বাড়ে। ঘটনায় যে জড়িত পুলিশ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’ তাঁর আরও দাবি, ‘বিজেপি বুঝতে পেরেছে উত্তর ২৪ পরগনা থেকে তারা শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের পার্টির মধ্যে কতকগুলি দালাল তৈরি করেছে বিজেপি। সেই দালালগুলিতে দিয়ে পয়সা খাইয়ে এই কাজ করাচ্ছে। দু পয়সার ক্রিমিনাল নামাচ্ছে।’ এদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের পালটা দাবি, ‘মদন মিত্রের চ্যালারাই গণ্ডগোল করেছে। ভাগ বাঁটোয়ারা নিয়ে সর্বত্রই গণ্ডগোল শুরু হয়েছে।’ এদিকে পুলিশ এই ঘটনায় ৬জনকে আটক করেছে।