প্রথমে পরিবারের এক সদস্যাকে ধারালো অস্ত্রের কোপ। এরপর তিনি প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয় নিলে সেখানেও চড়াও হয়ে একের পর এক হামলার অভিযোগ। গোটা ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের বড়ালি এলাকায়। পুলিশ অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। গোটা ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন বাসিন্দারা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বড়ালির বাসিন্দা সামসের আলি মোল্লা মাঝেমধ্যেই বাড়িতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতেন। এনিয়ে বাড়িতে অশান্তি লেগেই থাকত। বাড়ির অন্যরা এনিয়ে বার বারই প্রতিবাদ করেছেন। এতেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরেও সামসের একইভাবে বাড়িতে গালিগালাজ করছিল। সেই সময় ওই বাড়িরই বউ নাজমা বিবি এনিয়ে প্রতিবাদ করেন। তখনই সামসের ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার উপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।
নাজমা কোনওরকমে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে প্রতিবেশী আলাউদ্দিন মোল্লার বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেখানেও পৌঁছে যায় সামসের। এরপর সামসেরকে আটকানোর চেষ্টা করে ওই বাড়ির লোকজন। তখন সামসের তাদের উপরেও চড়াও হওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। হামলায় আলাউদ্দিন সহ মোট পাঁচজন জখম হয়েছেন। একজনের মৃত্যু হয়েছে। জখমদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে ঘটনার পরই ভাঙর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে পুলিশ দেখেই চম্পট দেয় অভিযুক্ত সামসের।