বাড়ির সামনে মদ্যপান ও গালিগালাজের প্রতিবাদ করেছিলেন আইনজীবী দম্পতি। আর তার জেরে নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার বনহুগলিতে আক্রান্ত আইনজীবী দম্পতি। এমনটাই দাবি করেছেন তাঁরা। এই ঘটনায় নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই দম্পতি। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটা?
আক্রান্ত মহিলার দাবি, আমাদের বাড়ির গেটের সামনে আটজন মিলে তাস খেলছিল। তার সঙ্গে মদও খাচ্ছিল তারা। আমরা এনিয়ে বারণ করি। ওরা তখন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। আমার স্বামী যখন প্রতিবাদ করতে যায় দশজন মিলে মারধর করে। আমাকেও মারধর করে। আমার বাড়িতে ঢুকেও ভাঙচুর করেছে। ওরা নানাভাবে শাসিয়েছে। মদ্যপ অবস্থায় ওরা আমাদের বাড়িতে, বাগানে ভাঙচুর চালিয়েছে। আক্রান্ত আইনজীবী ফয়জল আহমেদের দাবি, ওদের বার বার বলেছি। তারপরেও ওরা শোনেনি। লোহার রড, বাঁশ, লাঠি দিয়ে মারধর করেছে। কয়েকজন ক্লাবের ছেলেও ছিল এলাকায়। তারাও মারধর করেছে আমাদের। এদিকে গোটা ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফের প্রশ্নের মুখে। কেন বার বার বারণ করা সত্ত্বেও যুবকরা এভাবে বেপরোয়া আচরণ করল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। আইনজীবী দম্পতিই যদি এভাবে আক্রান্ত হন তবে সাধারণ মানুষের কী হবে? প্রশ্নটা সাধারণ মানুষের।