রাজ্যে ক্ষমতা প্রায় তলানিতে। বর্ধমানেও সিপিএমের সেই রমরমা আর নেই। অন্যদিকে তৃণমূলের একেবারে ভরা বাজার। প্রবল দাপট জেলায় জেলায়। তবে সেই ক্ষমতাশালী তৃণমূলের বুথস্তরের নেতাকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে সিপিএমের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের বুথ স্তরের নেতাকে মারধর করার অভিযোগ স্থানীয় সিপিএম কর্মীর বিরুদ্ধে উঠেছে। এমনকী সিপিএম কর্মীর মারে জখম হয়ে ওই তৃণমূল কর্মী বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসা করান। বর্ধমান থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছে।
ওই তৃণমূলকর্মী নুরুল ইসলাম খান বলেন, সকালে ক্যানালের ধারে বন্ধুর সঙ্গে গল্প করছিলাম। আচমকাই শেখ আলমগির নামে এক যুবক এসে আমাকে অকারণে মারধর করল। ওই ছেলেটা সিপিএম করে। মারধর করে সে ওখান থেকে চলে যায়। লোহার রড, শাবল দিয়ে আমাকে মারধর করে। রবিবার রাতে এলাকায় অনুষ্ঠান ছিল। কিন্তু সেখানে কী হয়েছে সেটা জানি না।
এদিকে গোটা ঘটনায় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ভোটের পরেও এলাকায় অশান্তি হয়নি। কিন্তু সিপিএমের ওই ছেলেটা রোজ গালাগালি করে তৃণমূলের লোকজনকে। শাবল করে আমাদের তৃণমূল কর্মীকে মেরে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। পুলিশ আসার আগেই অভিযুক্ত যুবক পালিয়ে গিয়েছে। তবে সিপিএম নেতৃত্ব অভিযোগ মানতে চাননি। বাম নেতৃত্বের একাংশের দাবি ব্যক্তিগত ঝামেলায় এসব হয়েছে। এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।