বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ুয়াদের মারধরের ঘটনায় অব্যাহত রাজনৈতিক চাপানউতোর। বাম ছাত্র সংগঠনগুলির অভিযোগ, এবিভিপি হামলা চালিয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবিভিপি। তাদের পালটা অভিযোগ অভিযুক্তরা তৃণমূল কংগ্রেস ও বাম ঘনিষ্ঠ। সেই অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল।
অভিযোগ, গতরাতে সাড়ে এগারোটা নাগাদ বিদ্যাভবন বয়েজ হস্টেলে ঢুকে পড়ে একদল বহিরাগত। কমপক্ষে দু’জন ছাত্রকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ভাঙা উইকেট, রড, কাঠ দিয়ে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিয়োতে মারধরের ছবি ধরা পড়েছে।
বিশ্বভারতী পিয়ার্সন মেমোরিয়াল হাসপাতালে স্বপ্ননীল মুখোপাধ্যায় ও শুভ নাথ নামে দুই ছাত্র ভরতি রয়েছেন বলে খবর। সেখানেও এবিভিপি চড়াও হয় বলে অভিযোগ। সেজন্য সকালেও হাসপাতাল চত্বরে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
বিশ্বভারতীর বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের দাবি, গত ৮ জানুয়ারি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে বক্তৃতা দিতে এসে বিক্ষোভের মুখ পড়েছিলেন বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। তাঁকে দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও করে রাখা হয়। সেজন্যই গতরাতে এবিভিপি হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, ঘটনায় এবিভিপি জড়িত নয়।
ঘটনায় এবিভিপি সমর্থক অচিন্ত্য বাগদি, সাবির আলির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন পড়ুয়ারা। সুলভ কর্মকারের নামে আরও একজনের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। যদিও অচিন্ত্যর দাবি, সে তৃণমূলের সমর্থক। গতকাল বিশ্বভারতীতে বৈঠক চলছিল। সেই সময় বাধা দিলে উত্তেজনা ছড়ায়।
তবে অচিন্ত্য দলের কেউ নয় বলে জানিয়েছে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের তরফে পালটা দাবি করা হয়েছে, উপাচার্যের মদতে এই ঘটনা ঘটেছে।