নাতিকে গ্যাসের আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা! এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠল ঠাকুমার বিরুদ্ধে। অল্পের জোরে প্রাণ রক্ষা হলেও আগুনে ঝলসে গিয়েছে একরত্তি শিশু। মঙ্গলবার দুপুরে চরম অমানবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তড়িঘড়ি অগ্নিদগ্ধ ওই শিশুকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। মায়ের বিরুদ্ধে দুর্গাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত ওই শিশুর নাম অর্ণব দেবনাথ (১)।আহত শিশুর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে দুর্গাপুরের ইস্পাত নগরীর নাগার্জুন রোডের বাসিন্দা সুব্রত দেবনাথের সঙ্গে ভালোবাসা করে বিয়ে হয়েছিল শর্মিষ্ঠা দেবনাথের। ছেলের এই বিয়ে মেনে নিতে পারেননি মা ভারতী দেবনাথ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই নিয়ে প্রায় অশান্তি লেগেই থাকত দেবনাথ পরিবারে। এদিনও শাশুড়ি-বৌমার অশান্তি চলছিল। সেই সময় ছোট্ট অর্ণব বাবার কোলে ঘুমোচ্ছিল। এরই মধ্যে পারিবারিক অশান্তি চরমে উঠে। অভিযোগ, বচসা চলাকালীনই ঠাকুমা ভারতীদেবী আচমকা রান্না ঘরে ছুটে যান। টেনে খুলে নেন গ্যাসের সংযোগকারী হোস পাইপ। গ্যাসের নব চালু করে দেন। কেউ কিছু বুঝে উঠার আগেই আচমকা সেই পাইপ ছেলের কোলে ঘুমিয়ে থাকা নাতির দিকে তাক করে দেশলাইয়ের কাঠি জ্বালিয়ে দেন। সঙ্গে সঙ্গে ঘুমন্ত শিশুটির গায়ে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে উঠে। মুহূর্তের মধ্যে তার মুখ, হাত, পেট পুড়ে যায়। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হন বাবাও। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তড়িঘড়ি অর্ণবকে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভরতি করা হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ছোট্ট অর্ণব। এই ঘটনায় দুর্গাপুর থানায় মা ভারতী দেবনাথের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করছেন ছেলে সুব্রত দেবনাথ। অন্য দিকে, সামান্য পুড়ে যাওয়ায়, অভিযুক্ত ভারতী দেবনাথকেও দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।