সামনেই গরমের ছুটি। কলকাতার কাঠফাটা গরম থেকে একটু স্বস্তি পেতে অনেকেরই বেড়ানোর তালিকায় এবারও সুন্দরী দার্জিলিং। আর সেই দার্জিলিংয়ে ঘুরতে যাওয়ার পথে অনেকেই একবার ঘুরে আসেন মিরিকে। পাহাড়ে ঘেরা বাঙালির চিরচেনা মিরিক। চারপাশে শাল, সেগুনের বাগানের। লেকের বুক চিরে চলে গিয়েছে কাঠের সেতু। তার উপর দাঁড়িয়ে ছবি তোলা, মিরিক লেকে বোটিং কিংবা ঘোড়ায় চাপার ছবি এখনও অনেকের স্মৃতির মণিকোঠায় যত্ন করে রাখা রয়েছে। তবে এর সঙ্গেই এবার যুক্ত হবে সেই মিরিক লেকে শিকারায় চাপার আনন্দ।
পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য এবার মিরিক লেকেও বিশেষ শিকারার ব্যবস্থা করছে জিটিএ। একেবারে কাশ্মীরের ডাল লেকের আদলে শিকারায় ভ্রমণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মিরিকের নীল জলে ভাসছে সুসজ্জিত শিকারা। অনেকেই বলছেন, মনের মানুষকে নিয়ে একবার চাপলে সারা জীবন মনে থাকবে এই সুখ স্মৃতি।
শিকারায় আধ ঘণ্টা চাপার জন্য ৫০০ টাকা খরচ করতে হবে। আপাতত ১টি সুসজ্জিত শিকারা লেকের জলে ভাসানো হচ্ছে। পরে এই শিকারা ভ্রমণ জনপ্রিয় হলে আরও শিকারা ভাসবে মিরিকের লেকে। তবে শিকারা ভ্রমণের ক্ষেত্রে যাবতীয় সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শিকারায় পর্যটকদের পাশাপাশি একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মাঝিও থাকবে শিকারায়। এদিকে মিরিক লেককে কেন্দ্র করে পর্যটনের সার্কিট গড়ে তুলতে চাইছে জিটিএ। এই মিরিকের চারপাশে রয়েছে একাধিক হোম স্টে। সেখানে একেবারে ঘরোয়া পরিবেশে দুদিন কাটিয়ে দেওয়া যায় অনায়াসেই। এরপর নাগালের মধ্যে ভারত নেপাল সীমান্তের পশুপতি বাজার, কুয়াশায় মোড়া একাধিক বৌদ্ধ গুম্ফা তো আছেই।