একটি অডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যেখানে অনুব্রত মণ্ডলের গলা শোনা না গেলেও তাঁর নাম ভেসে উঠেছে ওই অডিয়ো–তে। যেখানে অসুস্থ অনুব্রত মণ্ডল কলকাতার চিনার পার্কের বাড়িতে রয়েছেন। ওই অডিয়ো–তে দুজনের কথোপকথনে উঠে এসেছে কেষ্ট’র নাম। গীতাঞ্জলী প্রকল্পের বাড়ির টাকা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতার কাটমানি খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বীরভূমের নাম থেকে শুরু করে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে বলে কেষ্টদা বিষয়টি মিটমাট করে নিতে নির্দেশ দিয়েছেন বলেও অডি–তে শোনা যায়। যদিও অডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল।
ঠিক কী ঘটেছিল বীরভূমে? অভিযোগ উঠেছে, গত ৩০ এপ্রিল বীরভূমের রাজগ্রাম পূর্বপাড়ার বাসিন্দা লাইলি বিবির কাছ থেকে গীতাঞ্জলী প্রকল্পে বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার জন্য ১৮ হাজার টাকা কাটমানি নেওয়া হয়। এই অভিযোগ উঠেছিল মুরারই–১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা পরমানন্দ সাঁতরার বিরুদ্ধে। এমনকী কাটমানির বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অচিন্ত্য ঘোষ সরব হয়েছিলেন পরমানন্দ সাঁতরার বিরুদ্ধে। এরপরই ফোনের কথোপকথনের অডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায়। যেখানে একপ্রান্তে অচিন্ত্য ঘোষ এবং অন্যপ্রান্তে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি বিনয় ঘোষ রয়েছেন।
ঠিক কী শোনা গিয়েছে অডিয়ো–তে? অডিয়ো’য় শোনা গিয়েছে, বিনয় ঘোষ বলেন, ‘তুমি সংবাদমাধ্যমকে বলো, এটা সমঝোতা হয়ে গিয়েছে। ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। এটা কেষ্ট দা বলেছে। তা না হলে দল ছাড়তে হবে।’ অচিন্ত্য ঘোষ সেখানে বলেন, ‘কাটমানির টাকা যতক্ষণ না ফেরৎ দেবে ততক্ষণ কোনও বিবৃতি দেব না।’
কী বলা হচ্ছে অডিয়ো নিয়ে? এই অডিয়ো’র সত্যতা স্বীকার করেছেন বীরভূমের রাজগ্রাম ২৩ নম্বর পার্টের বুথ সভাপতি অচিন্ত্য ঘোষ। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে অভিযোগ এসেছিল লাইলি বিবির। গীতাঞ্জলী প্রকল্পে বাড়ি দেওয়ার জন্য ১৮ হাজার টাকা কাটমানি নেওয়া হয়েছে। আমি ব্লক সভাপতির কাছে অভিযোগ জানাই। কেষ্টদার নাম ভাঙিয়ে আমাকে ফোন ভয় দেখাচ্ছে ব্লক সভাপতি।’ পাল্টা বিনয় ঘোষ বলেন, ‘কেষ্ট দা জড়িতই নয়। আমি বলেছি, কাটমানির সঙ্গে যারা জড়িত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের সময়টা দিতে হবে।’