মালবাজার সিজার স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী উর্মি সাহা। আদতে ময়নাগুড়ি শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সে। মালবাজারের বড়মামার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত সে। বুধবার রাতে মামি রুমু সাহার সঙ্গে বিসর্জনের শোভাযাত্রা দেখতে গিয়েছিল সে। মাল নদীর পাড়়ে একে একে প্রতিমা নিয়ে ট্রাক আসছিল। প্রচুর মানুষ জড়ো হয়েছিলেন নদীর উপরেই।
আসলে কম জল থাকায় অনেকেই নদীর মাঝে নেমে পড়়েছিলেন। চারদিকে মাইক বাজছে। আলোও সেভাবে নেই। আচমকাই হু হু করে জল বাড়তে থাকে। তার সঙ্গেই প্রবল স্রোত। চিৎকার, আর্তনাদ চারদিকে। বাঁচার জন্য় আর্তি। ক্রমশ জল বাড়তে থাকে।
সেই তীব্র স্রোতে ভেসে যান উর্মি ও তার মামি। বিসর্জনের শোভাযাত্রা দেখতে গিয়ে আর ফেরা হল না তাঁদের। বৃহস্পতিবার ময়নাগুড়়ির দেবীনগরে ফিরল তাদের নিথর দেহ। শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা।
উর্মির বাবা পেশায় অটো চালক। উর্মি মাঝেমধ্যে মালবাজারে থাকত। আবার দেবীনগরের বাড়িতেও ফিরে আসত। কিন্তু এদিন ফিরল নিথর দেহ। পাড়ার মেয়ের এই মর্মান্তিক পরিণতিতে কার্যত শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা। শেষ বারের জন্য উর্মিকে দেখতে পাড়ার লোকজন ভেঙে পড়ে। কেন যে প্রশাসন আগাম সতর্ক হল না সেই প্রশ্নটা উঠছে বার বার।