সরকার পতনের পরেই বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে বাংলাদেশের আওয়ামি লিগের বহু নেতা কর্মীদের ধরপাকড় চালাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই পরিস্থিতিতে দেশ ত্যাগ করে বিদেশে পালাচ্ছেন বহু নেতা। আবার ভারতেও পালিয়ে এসে আশ্রয় নিচ্ছেন। সেরকমই বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এসে পূর্ব বর্ধমানে অবৈধভাবে বসবাস করছিলেন এক আওয়ামি নেতা। তাঁকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত আওয়ামি নেতার নাম রাজু আহমেদ। এছাড়াও তাঁকে আশ্রয় ও সাহায্যের অভিযোগে আরও দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের আদালতে তোলা হয়েছে।
আরও পড়ুন : মসজিদ থেকে বের হতেই গ্রেফতার আওয়ামি লিগ নেতা, পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিল জনতা
জানা গিয়েছে, অবৈধভাবে পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান শহরে বাজেপ্রতাপপুর মালিরবাগান এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকছিলেন তিনি। তাদের বিরুদ্ধে বিনা নথিতে ভারতে প্রবেশ, অবৈধভাবে বসবাস এবং অবৈধ প্রবেশে সাহায্যে করার অপরাধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ধৃতদের আদালতে তোলা হলে তদন্তের স্বার্থে ধৃতদের সাত দিনের হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।
জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতির কারণেই সে জীবন বাঁচাতে ভারতে পালিয়ে আসেন আওয়ামি নেতা। দালাল মারফত মোটা টাকার বিনিময়ে কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন তিনি। তারপর দালালের হাত ধরেই শহর বর্ধমানের অপর এক এজেন্টের বাড়িতে আশ্রয় নেয় এবং সেখানেই ভাড়া থাকছিলেন। শুধু তাই নয়, এখানে এসে রাজমিস্ত্রির কাজ করছিলেন। রাজু আহমেদের কাছে কোনও বৈধ ভিসা, পাসপোর্ট বা অন্য কোন বৈধ কাগজপত্র ছিল না। আর এরকম অবৈধভাবেই তিনি কয়েক দিন ধরে শহর বর্ধমানে ওই এজেন্টের বাড়িতে বসবাস করছিলেন। এরপরে সূত্র মারফত খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে হানা দেয়। আর তারপরই গ্রেফতার করে রাজু আহমেদ সহ স্থানীয় এজেন্ট শেখ মাজেদ রহমান এবং সুদীপ কুমার দাস ওরফে বাপনকে। জানা গিয়েছে, সুদীপ তাঁকে অবৈধভাবে সীমানা পেরিয়ে ভারতে আসতে সাহায্য করে।
ধৃত রাজু পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় জানিয়েছেন, বাংলাদেশে মারধর করা হচ্ছিল। তাই প্রাণ বাঁচাতে তিনি ভয়ে বেনাপোল সীমান্ত হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। আর অবৈধভাবে পালিয়ে আসার পর আওয়ামি নেতা বর্ধমানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, এখানে এসে জীবিকার জন্য রাজমিস্ত্রির কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। কেউ যাতে জানতে না পারে তার জন্য নিজের আসল পরিচয় গোপন করেছিলেন তিনি।