মন্ত্রী কন্যার বিরুদ্ধে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করেছিলেন। এতদিনে সেই লড়াইয়ের বৃত্ত সম্পূর্ণ হল। পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতার শূন্যপদে চাকরি পেতে চলেছেন মামলাকারী ববিতা সরকার। তাঁকে ১০ দিনের মধ্যে নিয়োগপত্র দিতে হবে। সেইসঙ্গে ববিতাকে সুদসমেত অঙ্কিতার বেতনের অর্থ মেটানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
বেআইনিভাবে নিয়োগের জন্য গত মাসেই অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। যিনি কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা উচ্চ বিদ্যালয়ে 'শিক্ষকতা' করতেন। শুক্রবার হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যয় প্রশ্ন করেন, ববিতাকে কি নিয়োগ করা হয়েছে? তাঁকে কেন এখনও চাকরি দেওয়া হয়নি?
বিচারপতির প্রশ্নের জবাবে কমিশনের আইনজীবী জানান, বেআইনিভাবে যে প্রার্থীদের নিয়োগ করা হয়েছিল, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে তাঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরেই নিয়োগ শুরু হবে। তখন ববিতাকেও চাকরি দেওয়া হবে বলে জানান কমিশনের আইনজীবী।
সেই উত্তরের প্রেক্ষিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, 'লজ্জাজনকভাবে' মন্ত্রীর কন্যা অঙ্কিতাকে চাকরি দেওয়া হয়েছিলেন। অঙ্কিতার নাম বেআইনিভাবে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করায় ববিতার নাম ২১ নম্বরে নেমে গিয়েছিল। সেজন্য অঙ্কিতার শূন্যপদে ববিতাকে নিয়োগের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। হাইকোর্টের নির্দেশ, সোমবারের (২৭ জুন) মধ্যে ববিতাকে চাকরির সুপারিশপত্র দিতে হবে। মঙ্গলবারের মধ্যে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে সুপারিশপত্র পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তারপর ৩০ জুনের মধ্যে ববিতাকে নিয়োগপত্র দিতে হবে।
আরও পড়ুন: অঙ্কিতা কোথায়? কেন তার বিরুদ্ধে এখনো কোনও পদক্ষেপ করেনি SSC?: হাইকোর্ট
সেইসঙ্গে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, অঙ্কিতা যেদিন থেকে স্কুলে চাকরিতে ঢুকেছিলেন, সেদিন থেকে যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা পাবেন। পাশাপাশি অঙ্কিতাকে হাইকোর্টে যে টাকা জমা দিতে হয়েছিল (প্রায় আট লাখ টাকা), সেটাও ববিতা পাবেন বলে জানিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।