২০১৭ থেকে ২০২২ সাল। রাজ্যের শিক্ষামানচিত্রে ফের অঙ্কিতা অধিকারীর নাম। তিনি রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে। এদিকে অপর একটি নামও ফের আসছে চর্চায়। তিনি ববিতা সরকার। ২০১৬ সালের ৪ ডিসেম্বর এসএসসি পরীক্ষায় বসেছিলেন ববিতা সরকার। ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর প্রকাশিত হয়েছিল মেধা তালিকা। সেখানে ওয়েটিং লিস্টে নাম ছিল তাঁর। এদিকে সাধারণত প্যানেল লিস্টে থাকা কর্মপ্রার্থীদের চাকরি হওয়ার পরে ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরি প্রার্থীদের পালা আসে। এনিয়ে আশায় আশায় বসেছিলেন শিলিগুড়ির কোর্ট মোড়ের বাসিন্দা ববিতা সরকার।
কিন্তু সেই চাকরি আর জুটল না। তালিকা প্রকাশের দাবিতে আন্দোলনে নামেন কর্মপ্রার্থীরা। এরপর দেখা যায় ববিতা সরকারের নাম রয়েছে ২০ নম্বরে। এদিকে দ্বিতীয় কাউন্সেলিংয়ের পর তিনি জানতে পারেন তাঁর নাম চলে এসেছে ২১ নম্বরে। আর এক অদৃশ্য হাতের জোরে এক নম্বরে চলে এসেছেন অঙ্কিতা অধিকারীর নাম। তাঁর বাবাই পরেশ অধিকারী।
ববিতার দাবি, অঙ্কিতার ইন্টারভিউ ছাড়া প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৬১। এদিকে আমার ইন্টারভিউ সহ নম্বর ছিল ৭৭। অঙ্কিতা যদি ইন্টিরভিউতে ১০ নম্বরও পান তবেও তার নম্বর কোনওভাবে আমার থেকে বেশি হবে না। তাহলে কীভাবে মেধা তালিকায় তাঁর নাম প্রথমে এসে যায়?
প্রভাবশালী মন্ত্রীকন্যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন ববিতা। দুই সন্তানকে নিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই চালাচ্ছেন। এখনও তিনি স্কুল শিক্ষকের চাকরি পাননি। তবে তাঁর হার না মানা জেদ প্রভাবশালী মন্ত্রীকে এনে ফেলেছে সিবিআইয়ের দরজায়। এদিকে এসএসসির চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন সিদ্ধার্থ মজুমদার। তিনিও জানিয়েছিলেন, পরেশ কন্যাকে অবৈধভাবে চাকরি দেওয়ার কথা। এই লড়াইয়ের শরিক তিনিও।