একেবারে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই। একদিকে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি। আর অন্য়দিকে নিজের অধিকার আদায়ের লড়াই। একদিকে মন্ত্রীকন্যার বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ। আর অন্যদিকে শিলিগুড়ির কোর্টমোড়ের বাসিন্দা ববিতা সরকারের চাকরি না পাওয়া। তবে লড়াইতে জিতেছেন ববিতা। চাকরি পেয়েছেন তিনি। আর সেই লড়াইতে সম্মান জানিয়ে এবার শিলিগুড়ির আদর্শনগরের মহিলা শক্তি সংগঠনের পুজোর উদ্বোধনে ডাক পেয়েছেন ববিতা।
হাজার হাজার বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের সামনে লড়াইয়ের মুখ হয়ে উঠেছেন ববিতা সরকার। নারীশক্তির প্রতীক। মহাষষ্ঠীতে সেই ববিতাই পুজোর উদ্বোধন করবেন।
২০১৬ সাল থেকে ২০২২ সাল। পরীক্ষা দেওয়ার ৬ বছর পরে চাকরি পেয়েছেন ববিতা।অভিযোগ রাজ্য়ের শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীরর কন্য়া ববিতা অধিকারী কার্যত প্রভাব খাটিয়ে ববিতাকে সরিয়ে প্রভাব খাটিয়ে মেধাতালিকায় ওপরের দিকে জায়গা করে নিয়েছিলেন। চাকরি পেয়েছিলেন অঙ্কিতা। চাকরি জোটেনি ববিতার। তবে শেষ পর্যন্ত দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পরে আদালতের নির্দেশে চাকরি পেয়েছেন ববিতা। চাকরি খোয়া গিয়েছে মন্ত্রীকন্য়ার।
তবে উৎসবের দিনেও যে চাকরিপ্রার্থীরা আজও আন্দোলনে বসে রয়েছেন তাঁদের কথা ভোলেননি ববিতা। দেবীর কাছে তাঁর প্রার্থনা, মাগো, ওদের লড়াইয়ের শক্তি দাও।
ববিতা জানিয়েছেন, টানা আন্দোলন করেছিলাম অন্য়ায়ের বিরুদ্ধে। আদালতেও গিয়েছি। আমার চাকরি আমি পেয়েছি। কিন্তু এখনও আমার সহযোদ্ধারা রাস্তায় আছেন। পুজোর কদিন তাঁদের জন্য় মন খারাপ থাকবে। তবে আমি সেলিব্রিটি নই। শুধু চাই যাঁরা চাকরি পাওয়ার অধিকারী ছিলেন, সেই যোগ্য প্রার্থীরাও যেন চাকরি পান।
অঙ্কিতা অধিকারীকে হারিয়ে চাকরির অধিকারী হয়েছেন ববিতা। এবার অন্যদের লড়াইয়ের দিকে তাকিয়ে গোটা বাংলা।