কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এবার এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের কাঠগড়ায় তুললেন আসানসোলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের সঙ্গে অভিযুক্তের ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা না থাকলে এই কেলেঙ্কারি ঘটানোর সাহস পেতেন না অভিযুক্ত। ঘটনার তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও তুলেছেন তিনি। অন্যদিকে, বাবুলের মতোই ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। তিনিও কত ভ্যাকসিন এ রাজ্যে এসেছে, তার সংখ্যা জানতে চেয়ে, রাজ্যকে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি তুলেছেন।
এদিন নিজের টুইটারে তৃণমূলকে আক্রমণ করে আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় লেখেন, 'ভুয়ো আইএএস (IAS) সেজে কসবায় ভ্যাকসিন কাণ্ডে ধৃত দেবাঞ্জন দেব'এর সাথে এরা কারা ?? একটু ভাল করে দেখুন তো চিনতে পারছেন কিনা !! ??এতো বড় জালিয়াতির পিছনেও কি সেই 'অনুপ্রেরণা' কাজ করছে?!!! এটা তো হিমশৈলের চূড়া মাত্র! এর পিছনে রাঘব বোয়ালদের মদত না থাকলে এই জালিয়াতি অসম্ভব না।’
বাবুল সুপ্রিয়র মতোই শুক্রবার চুঁচুড়ার ঘড়ির মোড়ে কালা দিবসের অবস্থান ধরনায় যোগ দিয়ে ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে সরব হয়েছেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, ‘এত মানুষকে ভুয়ো ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। তাদের জীবন নিয়ে খেলা হয়েছে। এই টিকা নিয়ে যদি কারোর কিছু হয়, তাহলে কি তার দায়িত্ব সরকার নেবে?
তিনি দাবি করেন, ‘আমরা আরটিআই করে জানব যে, সরকারের কাছে কত ভ্যাকসিন এসেছে। কোন সেন্টারে কত ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। স্টকে কত রয়েছে। এই বিষয় শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক সরকার।’ তাঁর আরও দাবি, 'ভ্যাকসিন নিয়ে দুর্নীতি চলছে। এত বড় ভ্যাকসিন কেলেঙ্কারির পিছনে আর কে কে জড়িয়ে রয়েছেন, তা অবিলম্বে খুঁজে বার করা দরকার। তাছাড়া ভ্যাকসিনের শিশির ভিতর বিষ ঢোকানো হচ্ছে কিনা, তাও তদন্ত করে দেখা উচিত।’