তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক কর্মসূচিকে হাতিয়ার করে পালটা আক্রমণে নামল বিজেপি। আর সেই আক্রমণের দায়িত্ব নিজের কাঁধের তুলে নিলেন আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। ‘সোজা বাংলায় বলছি’ দাবি করলেন, আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়বে তৃণমূল কংগ্রেস।
গত ন'বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের 'সাফল্য' প্রচারের জন্য রবিবার থেকে ‘সোজা বাংলায় বলছি’ কর্মসূচি শুরু করেছে তৃণমূল। সেখানে অবশ্য দলের প্রতীক ব্যবহার করা হয়নি। সেই কর্মসূচির পালটা হিসেবে রবিবার একাধিক ভিডিয়ো করেন বাবুল। প্রথম ভিডিয়োতে তিনি বলেন, ‘রোববার দুপুরে একদম খাঁটি বাঙালির মতো টিশার্ট পরে খুব সাধারণভাবে, কিন্তু জোর দিয়ে বলছি, সোজা বাংলায় বলছি টিএমসি হটাও, মমতাদিদি হটাও, বাংলা বাঁচাও। সারা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বলছেন।’
অপর একটি ভিডিয়োয় বাবুল অভিযোগ করেন, বিজেপির জাতীয় স্তরের নেতারা সবাই অবাঙালি। তাই রাজ্যে এসে তাঁরা হিন্দিতে ভাষণ দেন। সেই কারণে বাঙালি ভাবাবেগকে উসকে দিয়ে ভোটে ফায়দা তুলতেই কর্মসূচির নাম ‘সোজা বাংলায় বলছি’ রাখা হয়েছে। তবে তাতে কিছু লাভ হবে না বলে দাবি করেন বাবুল। তৃণমূলকে খোঁচা দেওয়ার পাশাপাশি রাজ্যবাসীর কাছে যাতে ‘ভুলবার্তা’ না যায়, তা নিশ্চিত করতে বাবুল জানান, বিজেপি সর্বভারতীয় দল বলে হিন্দিভাষী নেতানেত্রী আছেন। বাবুলের খোঁচা, ‘নামে সর্বভারতীয় হলেই তো কেউ সর্বভারতীয় হয় না!’
রাজনীতির কারণে ব্যক্তিগত আক্রমণে না হেঁটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুস্থতা কামনা করেন বাবুল। তবে রাজনৈতিকভাবে মমতাকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি তিনি। বাবুলের কথায়, 'দিদিকে ব্যক্তিগতভাবে একটি সুস্থ-সবল, আনন্দময় জীবনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। উনি দীর্ঘায়ু হন। উনি একজন লড়াকু মহিলা হিসেবে আনন্দে থাকুন। কিন্তু ওঁনার রাজনৈতিক নৃশংসতা ২০২১ সালে সাফ হবে। ২০১৯ সালে আমরা ইতিমধ্যে হাফ করেছি, একুশে সাফ করব। সোজা বাংলায় বলছি, টিএমছিঃ হটাও, বাংলা বাঁচাও।'