ডায়মন্ডহারবার পুরসভার এক বাসিন্দা পুলিশে অভিযোগ করেন পাইপলাইনের জলে পোকা–কেঁচো বের হচ্ছে। এটাই ঘটনার সূত্রপাত। এলাকার বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ হয়ে সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেন। সেটা দেখতে পান স্বয়ং এই লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, এই ভিডিয়ো দেখে তিনি পুলিশকে কড়া পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেন। আর তারপরই কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে দুই ইঞ্জিনিয়ার–সহ তিনজনকে গ্রেফতার করল ডায়মন্ডহারবার থানার পুলিশ।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত দুই ইঞ্জিনিয়ার মৃদুল মণ্ডল এবং প্রবীর পোল্লে। ধৃতদের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতি–সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। কারণ এই জল কেউ খেলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারত। এই ঘটনাকে ঘিরে জোর আলোড়ন পড়ে গিয়েছে ডায়মন্ডহারবার জুড়ে। ধৃতদের আজ, শুক্রবার ডায়মন্ড হারবার মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। এখানে ১৬টি ওয়ার্ডের প্রায় ৬০ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে পাইপলাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহ করত ডায়মন্ডহারবার পুরসভা। কিন্তু পানীয় জলের সংকট দেখা দেয়। বাম আমলে ডায়মন্ড হারবারে এই জল প্রকল্প তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল।
আর কী জানা যাচ্ছে? এখানে ২০১৭ সাল থেকে হুগলি নদী থেকে জল তুলে পরিশোধন করে রিজার্ভারে মজুত করা এবং পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রত্যেক ওয়ার্ডে সরবরাহের কাজ শুরু হয়েছিল। এই জলেই এবার কেঁচো–পোকা দেখা দেয়। গরম পড়তেই এখানে পানীয় জলের সমস্যা বাড়তে শুরু করেছে। আর পাইপলাইনের মাধ্যমে সরবরাহ পানীয় জল থেকে পোকা–কেঁচো বের হতে শুরু করে। যার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তখন পদক্ষেপ করে সাংসদ। আর গ্রেফতার করা হয় তিনজনকে।
ঠিক কে, কি বলছেন? এই ঘটনা নিয়ে আলোড়ন পড়ে যেতেই বিজেপি নেতা মনোতোষ বলেন, ‘ডায়মন্ড হারবারে পানীয় জলের সমস্যা অনেকদিনের। অনেকবার আমরা বলে এসেছিলাম। মানুষ ড্রামের জল কিনে খান। কিন্তু সবাই তো তা পারেন না।’ পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক পান্নালাল হালদার বলেন, ‘সমস্যা আর ফিরে না আসে, তার ব্যবস্থা নিতে বলব। পাইপ অনেক সময় ফেটে যায়। তখনই পানীয় জলে নোংরা মিশে যায়।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup