বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Bogtui Murder: বগটুইয়ের বছর পার, এখনও মৃত্যুর শংসাপত্র হাতে পাননি মৃত নবদম্পতির পরিবার

Bogtui Murder: বগটুইয়ের বছর পার, এখনও মৃত্যুর শংসাপত্র হাতে পাননি মৃত নবদম্পতির পরিবার

বগটুইয়ের বর্বরতা। (ফাইল ছবি) (ছবি সৌজন্যে, সমীর জানা/হিন্দুস্তান টাইমস)

অভিষোগ, ঘোষণা মতো ক্ষতিপূরণের টাকাও পাননি তাঁরা। বিষয়টি একাধিকবার প্রশাসনের কাছে জানিয়েও লাভ হয়নি। 

দেখতে দেখতে বছর পার। গত বছর এই দিনে ঘটেছিল বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে নৃশংস হত্যাকাণ্ড। বড়শাল গ্রামের উপপ্রধান খুন হওয়ার পর একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। সেই আগুনে মারা যান ১০ জন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন নব বিবাহিত দম্পতি কাজি সাহিদুল রহমান ও তাঁর স্ত্রী মর্জিনা বিবি। ঘটনার দিন স্ত্রীকে নিয়ে বগটুইতে শ্বশুর বাড়িতে এসেছিলেন তিনি।

সেই ঘটনার পর বগটুই গ্রামে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃতদের পরিবার ও আহতদের অর্থ সাহায্যের ঘোষণা করেন তিনি। মৃতদের পরিবারের একজনকে চাকরিরও প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু মৃত সাহিদুলের পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের ছেলের মৃত্যুর টাকা এবং চাকরি পেলেও বৌমার মৃত্যুর কোনও টাকা তাঁরা পাননি। এমন কি বৌমা মর্জিনরা বাড়ির কেউ কোনও চাকরিও পাননি।

সাহিদুলের মা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ছেলে ও বৌমার মৃত্যুর কোনও শংসাপত্র তাঁরা সরকারের কাছ থেকে পাননি। ফলে তাঁরা ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলতে পারেছেন না। জেলাশাসককে একধিকবার লিখিত ভাবে বিষয়টি জানিয়েছেন, কিন্তু আশ্বাস ছাড়া আরও কিছুই পান নি। ফলে ছেলে মৃত্যুর ক্ষতিপূরণের টাকা এলেও তা তাঁরা ব্যাঙ্ক থেকে তুলতে পারছেন না।

(পড়তে পারেন। বগটুইয়ে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বাধার মুখে তৃণমূল বিধায়ক)

বৃদ্ধার কথায়,'মৃত্যুর শংসাপত্র না আসায় কিছুই করা যাচ্ছে না। এক বছর হয়ে গেল। প্রশাসনের কেউ খোঁজ নিচ্ছে না।'

জেলাশাসক বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে শোনার পর আশ্বাস দিয়েছেন বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবেন। তাঁর যুক্তি, 'যেহেতু পুড়ে মারা যাওয়ার পর দেহ একেবারেই চেনা যাচ্ছিল না তাই হয়তো এ রকম সমস্যা হয়েছে।'

বন্ধ করুন