মদ – গাঁজার কারবারের বিরোধিতা করায় ভাইয়ের হাতে খুন দাদা। কলকাতা লাগোয়া বাগুইআটির আদর্শপল্লির ঘটনা। রবীন মণ্ডল নামে ওই প্রৌঢ়কে খুনের অভিযোগ ভাই বিশ্বজিৎ ও তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমার বিরুদ্ধে। ঘটনায় বাগুইআটি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পূর্ণিমাকে আটক করেছে পুলিশ। বিশ্বজিৎ পলাতক।
নিহতের পরিবারের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মদ – গাঁজা বিক্রি করেন বিশ্বজিৎ ও পূর্ণিমা। তার প্রতিবাদ করেন রবীনবাবু। এতে পারিবারিক সম্মান নষ্ট হচ্ছে বলে জানান তাঁদের। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। এই নিয়ে দাদা - ভাইয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন বিবাদ চলছিল। সোমবার সেই বিবাদ চরমে পৌঁছয়। পরিস্থিতি এমন জায়গায় যায় যে কাউন্সিলরকে গিয়ে সামাল দিতে হয়। তখনকার মতো থেমে গেলেও মঙ্গলবার সকালে ফের দুজনের বিবাদ বাঁধে। অভিযোগ, তখন রবীনবাবুর বুকে ধাক্কা মারেন বিশ্বজিৎ। এর পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন রবীন মণ্ডল। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
এর পর বাগুইআটি থানায় দেওরের বিরুদ্ধে স্বামীকে খুনের অভিযোগ করেন রবীনবাবুর স্ত্রী অর্চনা। ওদিকে দাদার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকেই বেপাত্তা বিশ্বজিৎ। পুলিশ তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমাকে আটক করেছে।