ভর সন্ধ্যায় প্রকাশ্যে বহরমপুরে কলেজ ছাত্রীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার পর আতঙ্ক ছড়িয়েছে শহরের বিভিন্ন মেসের বাসিন্দা তরুণী ও তাদের পরিবারের মধ্যে। প্রশ্ন উঠেছে, মেসগুলিতে বসবাসকারী তরুণীদের নিরাপত্তা নিয়েও। এই নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন শহরের পুরপ্রধান নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি দাবি করেছেন, শহরের অধিকাংশ মেসেরই পুরসভা বা পুলিশের কাছে কোনও নথিভুক্তি নেই।
নাড়ুগোপালবাবু বলেন, এই শহরে মেসগুলিতে কারা থাকছেন সে ব্যাপারে কোনও তথ্যই না পৌরসভা না পুলিশের কাছে। বাড়ির কর বাঁচাতে বাড়ির মালিকরা তথ্য গোপন করেন। সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, বহরমপুর শহরের সমস্ত ওয়ার্ডে যে নেস রয়েছে তার তালিকা জমা দিতে বলা হয়েছে কাউন্সিলরদের। সেই তালিকা অনুসারে মেস মালিকদের কাছে আবাসিকদের তথ্য চাওয়া হবে। কোনও মেসমালিক তথ্য দিতে অস্বীকার করলে তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করবে পুরসভা।
গত সোমবার সন্ধ্যায় বহরমপুরের জনবহুল গোরাবাজারে প্রকাশ্যে খুন হন কলেজছাত্রী সুতপা চৌধুরী। প্রকাশ্য রাস্তায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে খুন করে অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরী। এর পরই শহরের মেস ও তার আবাসিকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আতঙ্গে মেস ছেড়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন বহু ছাত্রী। অভিভাবকদের দাবি, যে ভাবে বিনা বাধায় প্রকাশ্যে খুন হয়েছেন সুতপা তার পর মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে তাঁরা শঙ্কিত। পুরসভার পদক্ষেপে কি সেই আস্থা ফিরবে?