একেবারে মুখোমুখি দুটি বাড়ি। একটি সুতপা চৌধুরীর বাড়ি। অপরটি সুতপা খুনে অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরীর পিসির বাড়ি। নিঃসন্তান পিসির বাড়িতে থেকেই পড়াশোনা করত সুশান্ত। সুতপাদের বাড়িতে অষ্টম শ্রেণি থেকে যাতায়াত ছিল সুশান্তর। পরবর্তী সময়ে সেই সুশান্তর সঙ্গেই কিছুটা সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল সুতপার। এমনটাই খবর স্থানীয় সূত্রে। তারপর কী হল?
স্থানীয় সূত্রে খবর, দুর্গাপুজোর আগে পিসির বাড়িতে পিকনিক করে মদ্যপ সুশান্ত চড়াও হয়েছিল সুতপাদের বাড়িতে। রীতিমতো বন্ধুদের নিয়ে সুশান্ত ওই বাড়িতে গিয়ে ঝামেলা পাকায়। সেই সময় সুতপার বাবা সহ কয়েকজন সুশান্তকে ধরেও ফেলেন। এদিকে এরপর স্থানীয় কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ ঘোষের কাছে বিষয়টি তিনি জানান।
এরপর লক্ষ্মীপুজোর পরে দুপক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করেন তিনি। তবে দুজনেই পড়াশোনা করছে। সেক্ষেত্রে তাদের পড়াশোনা, ভবিষ্যতের কথা ভেবে এনিয়ে আর পুলিশের কাছে নালিশ করেননি সুতপার বাবা। তবে সেই সময় একটি ল্যাপটপের প্রসঙ্গ উঠে আসে আলোচনায়। সেটি সুশান্তর ল্যাপটপ। সেটা নাকি সুতপার পরিবার আটকে রেখেছিল। কিন্তু কী ছিল সেই ল্যাপটপে?
স্থানীয় কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ ঘোষ জানিয়েছেন, সুতপাদের বাড়িতে নেশাগ্রস্ত অবস্থা দরজায় লাথি মেরেছিল সুশান্ত। সেই সময় মেয়েটির বাবা ও আশপাশের লোকজন ধরে তার ল্যাপটপটি নিয়ে নেন। সেই ল্যাপটপে নাকি ছেলেটি আর মেয়েটির অনেক ছবি ছিল। হয়তো দুজনের ঘুরতে যাওয়ার ছবি ছিল। সেগুলো ভাইরাল হলে মেয়েটির ভবিষ্যতে সমস্যা হতে পারত। তবে সেই ছবি আমরা দেখিনি। ছেলের মা ও পিসি সেদিন এসেছিলেন। মেয়েটির বাবা ও আশপাশের লোকজন এসেছিলেন।