কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিস্ফোরক তথ্য় সামনে এসেছে। অভিযোগ এসেছে যে জাল নথি পেশ করে দুষ্কৃতীদের জামিন করিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। আলিপুরদুয়ার আদালতে এই ধরনের কিছু কাজ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে এনিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু তারপরেও আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এনিয়ে ক্ষুব্ধ বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ। এই সময়ের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে।
এক পেশাদার জামিনদারের সই জাল করে অভিযুক্তদের জামিন পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই জামিনদার পেশায় আইনজীবী। আর এনিয়ে ডিভিশন বেঞ্চ নিশ্চিত যে আলিপুরদুয়ার আদালত চত্বরে এনিয়ে একটা চক্র কাজ করছে। এমনকী আইনজীবীদের একাংশের ভূমিকাও এনিয়ে প্রশ্নের মুখে। এমনকী অভিযুক্তকে গ্রেফতারের নির্দেশও রয়েছে।
এদিকে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বলে খবর। কিন্তু তারপরেও তদন্ত কতটা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে আদালত। পাশাপাশি এই তদন্তে জেলার পুলিশ সুপার কতটা গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখেছেন তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। এরপরই আদালত নির্দেশ দিয়েছে পুলিশের তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট এসপি কে দিয়ে তা খতিয়ে দেখে ২৯শে জানুয়ারি জমা দিতে হবে। সেদিন মামলার তদন্তকারী আধিকারিককেও উপস্থিত থাকতে হবে আদালতে।