রাজ্য সফরে আসা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলীধরনের কনভয়ে হামলার ঘটনায় ধৃতদের জামিন মঞ্জুর করল মেদিনীপুর আদালত। শুক্রবার ঘটনায় ধৃত ১০ জনকে মেদিনীপুর আদালতে তোলে পুলিশ। মামলার শুনানি শেষে ধৃতদের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।
শুনানি চলাকালীন সরকারের তরফের আইনজীবী সৈয়দ নাজিম হাবিব ধৃতদের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেন। তবে দু’পক্ষের শুনানি শেষে প্রত্যেকের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে দাবি, ঘটনায় জড়িত অন্যান্য অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে। এই নিয়ে শুক্রবার পাঁচখুড়িতে চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়। নতুন করে অশান্তি এড়াতে গোটা এলাকায় পুলিশি নজরদারি চালানো হচ্ছে।
ভোট-পরবর্তী হিংসায় ‘আক্রান্ত’ বিজেপি কর্মীদের দেখতে বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের উপর দিয়ে যাচ্ছিলেন মুরলীধরন। পাঁচকুড়ির কাছে তাঁর কনভয়ে বাঁশ-লাঠি হাতে হামলা চালানো হয়। গাড়িতে চলে ভাঙচুর। তার জেরে সফর কাটছাঁট করেই ফিরে আসতে বাধ্য হন মুরলীধরন। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা কনভয়ে হামলা চালিয়েছে। তাঁর ব্যক্তিগত কর্মীদের উপরও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। পশ্চিম মেদিনীপুরের বিজেপি সভাপতি সৌমেন তিওয়ারি দাবি করেন, মেদিনীপুর লাগোয়া দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে এবং এখানকার সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সেইসময় কনভয়ের হামলা চালায় তৃণমূল-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। মন্ত্রীর গাড়ির চালকের মাথা ফেটে যায়। তিনজন সাংবাদিকও আহত হন।
যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেন পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল জেলা সভাপতি অজিত মাইতি। তিনি দাবি করেন, ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কেউ জড়িত নেই। কেশপুরে যাওয়ার নাম করে প্ররোচনা ছড়াচ্ছিলেন মুরলীধরনরা। পশ্চিম মেদিনীপুর শান্ত হয়ে যাওয়ায় ইচ্ছা করে শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছেন বিজেপি নেতারা। কোথাও কোনও বড় ঘটেনি। তাও ‘আক্রান্ত’ কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার নাম করে নাটক করছে বিজেপি।