দু’টি সেতুর কাজ চলছে। আর তার জন্য শিয়ালদা এবং হাওড়া শাখা মিলিয়ে প্রায় শতাধিক লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। সুতরাং বেড়ে গিয়েছে যাত্রী দুর্ভোগ। হাওড়া ডিভিশনে ব্যান্ডেল এবং শেওড়াফুলি শাখায় প্রচুর ট্রেন বাতিল হয়েছে। ফলে মেন লাইনে সমস্যা বেড়েছে। আর ট্রেনের সমস্যা নিয়ে যাত্রীদের অভিযোগ, বিপুল পরিমাণ ট্রেন বাতিল করার পরেও যেটুকু চলছে সেটুকুও সেতু মেরামতির কাজের জন্য মেন শাখায় একাধিক লোকাল ট্রেন দেরিতে চলছে। এমনকী শিয়ালদা শাখায় রানাঘাট, নৈহাটি শাখা ছাড়া আরও বেশ কিছু ট্রেন দেরিতে চলছে বলে অভিযোগ। বালিঘাট এবং বালি হল্ট স্টেশনের মাঝখানে থাকা প্রায় ৯৫ বছরের পুরনো রেল ব্রিজের গার্ডার বদলের কাজ চলছে।
এদিকে এই দুই ডিভিশনের সেতু মেরামতির কাজের জন্য যাত্রী দুর্ভোগ তো আছেই। তার সঙ্গে মালদা ডিভিশনেও জরুরি মেরামতির কাজ চলছে। আজ ২৬ জানুয়ারি রবিবার ছুটির দিনকেও কাজে লাগিয়ে ওই সব কাজ করা হচ্ছে বলে খবর। তার জেরে দূরপাল্লার বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিলও করা হয়েছে। যার মধ্যে ত্রিপুরার আগরতলা এবং সাব্রুমগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসও আছে। অনেকেই আবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতুর মাঝে থাকা জালের বেড়া টপকে যাতায়াত করছে। বৃহস্পতিবার ডানকুনিগামী বাস–গাড়ি নিবেদিতা সেতু দিয়ে চলাচল করছে। আর মানুষজনকে চরম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ফিরে এল ভয়াবহ পোলিও ভাইরাস, দায়ী কে? উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
অন্যদিকে রেল সূত্রে খবর, শিয়ালদা ডিভিশনের পক্ষ থেকে ডানকুনি শাখার যে সাত জায়গায় মেরামতির কাজ চলছে সেখানে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শেষ করার চেষ্টা হচ্ছে। বালিঘাট ও বালিহল্ট স্টেশনের মধ্যে থাকা সিসিআর–১৫ সেতু ছাড়াও অন্য সেতুগুলিতেও দ্রুততার সঙ্গে মেরামতির কাজ চলছে। সিসিআর–১৫ সেতুতে পুরনো গার্ডার ও রেললাইন তুলে ফেলে নতুন লাইন বসানোর কাজ চলছে। প্রায় একহাজার কর্মী দিনরাত দফায় দফায় ওই কাজ করছেন। আর তাই রেল কর্তারা আশা করছেন, সোমবার সকালের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাজ শেষ হয়ে যাবে।
এছাড়া হাওড়া সিটি পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণবিধি চলবে। তবে বিকল্প রুটও ঠিক করা হয়েছে। বালি ব্রিজের একাংশ দিয়ে কলকাতাগামী গাড়ি ঢুকতে পারবে। কিন্তু কলকাতা থেকে বালি হল্ট হয়ে বম্বে রোড, দিল্লি রোডগামী বাস অথবা গাড়ি বেরোতে পারবে না। সেই বাসগুলি যাবে নিবেদিতা সেতু হয়ে। আর রেল সূত্রে খবর, এই কাজ চলার জেরে শিয়ালদা–ডানকুনি শাখায় বাতিল করা হয়েছে ২২ জোড়া লোকাল এবং একাধিক মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন। বালিহল্টে যাত্রীদের ওঠা–নামা করার জন্য নিবেদিতা সেতুর মাঝেই একটি জায়গা করা হয়েছে। বাস থেকে নেমে যাত্রীরা যাতে হাওড়া লাইনের ট্রেন ধরতে পারেন।