লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম পূরণ করতে যাচ্ছি বলে প্রেমিকের সঙ্গে পালালেন বাড়ির ‘লক্ষ্মী’। ঘটনা দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুুরঘাটের ডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের। রবিবার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন বধূর স্বামী। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
রায়গঞ্জের বাসিন্দা ওই তরুণীর সঙ্গে ৮ বছর আগে বিয়ে হয়েছির বালুরঘাটের বাসিন্দা ওই যুবকের। যুবক পেশায় গাড়ির চালক। দম্পতির ৪ বছরের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। শনিবার বিকেল ৩টে নাগাদ লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম পূরণ করার নাম করে বাড়ি থেকে বেরোন ৩২ বছর বয়সী ওই মহিলা। তার পর থেকে তাঁর আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। যোগাযোগ করা যাচ্ছে না ফোনে। পরে বাড়ির লোকেরা বুঝতে পারেন, ৪,০০০ টাকা ও যাবতীয় নথি নিয়ে বাড়ি ছেড়েছেন বধূ।
বধূর স্বামী জানিয়েছেন, বালুরঘাটের তেওড় এলাকার এক যুবকের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল তাঁর স্ত্রীর। সেকথা জানতে পারার পর বিস্তর অশান্তি হয়। বধূর ফোনটি ভেঙে ফেলেন তিনি। যদিও তার পরেও বধূর সঙ্গে যুবকের যোগাযোগ বন্ধ হয়নি। সম্প্রতি দিদির বাড়ি গিয়েছিলেন বধূ। শুক্রবার ফেরেন শ্বশুরবাড়িতে। তার পরদিনই বাড়ি ছাড়েন তিনি।
শনিবার রাতভর বধূর খোঁজ করেও না পাওয়ায় রবিবার সকালে বালুরঘাট থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন বধূর স্বামী। এর পর তাঁর খোঁজ শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। ওদিকে মা-কে দেখতে না পেয়ে কেঁদেই চলেছে ৪ বছরের ছেলে। মুখে শুধু একটাই কথা, ‘মার কাছে যাব’।