ইদানিং স্বামী দেখতেন স্ত্রীর যেন উড়ু উড়ু মন। বেশিরভাগ সময়ই ফোনে ব্যস্ত থাকছে। এনিয়ে সন্দেহ ক্রমেই বাড়তে থাকে। আসল ব্যাপারটি বুঝতে পেরে এবার স্ত্রীকে তাঁর প্রেমিকের হাতে তুলে দিলেন খোদ স্বামী। বালুরঘাটের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মাঝিগ্রাম এলাকার ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই মুদি ব্যবসায়ীর সঙ্গে প্রায় ১৪ বছর আগে চকদুর্গা এলাকার এক যুবতীর বিয়ে হয়েছিল। তাদের ১২ বছরের একটি সন্তানও রয়েছে। এদিকে কিছুদিন আগে স্ত্রী স্থানীয় এক টোটো চালকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন।
এরপর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্য়ে অশান্তি লেগেই থাকত। সংসারে একেবারে মন টিকছিল না ওই মহিলার। এরপর পঞ্চায়েত পর্যন্ত গড়ায় গোটা বিষয়টি। সোমবার মাঝিগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে পঞ্চায়েতের লোকজনের উপস্থিতিতে সালিশি সভা হয়। সেখানে ওই মহিলা জানিয়ে দেন, তিনি আর স্বামীর সংসারে থাকতে চান না। প্রেমিকের সঙ্গেই বাকি জীবনটা কাটাতে চান। এদিকে প্রেমিকাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যেতে এককথায় রাজি হয়ে যান টোটো চালক। কিন্তু সেই পরিস্থিতিতে স্বামী কী করলেন?
স্বামীর তখন কার্যত কাবাব মে হাড্ডির অবস্থা। স্ত্রীকে কোনওভাবেই নিজের কাছে আর রাখা যাবে না এটা বুঝতে পেরে টোটো চালকের হাতে স্ত্রীকে তুলে দিলেন স্বামী। আপাতত ওই যুবকের সঙ্গেই তিনি থাকবেন বলে ঠিক হয়েছে। এর মধ্যে ডিভোর্সের প্রক্রিয়াও শুরু হবে। স্বামী স্পষ্টতই জানিয়ে দিয়েছেন, কেউ যদি থাকতে না চান তবে আমার কিছু করার নেই। আমি এনিয়ে আর আপত্তি জানাইনি।
এদিকে সামগ্রিক পরিস্থিতিতে কারোর যখন পৌষমাস হয় তখন অপরজনের সর্বনাশ তো হয়ই। এই কথা তো পড়েই আছে। স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিকা এখন সুখে সংসার করার স্বপ্নে বিভোর। আর একলা জীবন কাটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন স্বামী।