বাংলাদেশের এখন টালমাটাল পরিস্থিতিতে চাপ বাড়ছে এপার বাংলায়। কারণ অবৈধ পথে ওপার বাংলা থেকে নাগরিক থেকে জঙ্গি ঢুকে পড়ছে এপার বাংলায়। বারবার তা ধরা পড়লেও সেটা থামছে না। এবার আবার অবৈধভাবে বাংলায় এসে আত্মগোপন করে থাকল এক বাংলাদেশি নাগরিক বলে অভিযোগ। আর গোপন সূত্রে সেই খবর পেয়ে ওই বাংলাদেশের যুবককে গ্রেফতার করল বালুরঘাট থানার পুলিশ। এই ঘটনা সামনে আসতেই তোলপাড় কাণ্ড ঘটে গিয়েছে। আজ, শুক্রবার বিকেল থেকে এই কথাই চর্চিত হচ্ছে উত্তরবঙ্গের এই লোকসভা কেন্দ্রে।
আজ নদিয়া থেকেও ১০ জন বাংলাদেশি নাগরিক এবং দালাল ধরা পড়েছে। আগে জঙ্গি পর্যন্ত ধরা পড়েছে। ক্যানিংয়ের ঘটনা তার উজ্জ্বল উদাহরণ। আর আজ, শুক্রবার বালুরঘাটে ধরা পড়ল বাংলাদেশি নাগরিক। সে অবৈধ পথে এপার বাংলায় প্রবেশ করে। শুধু তাই নয়, এখানে ওই যুবক পেয়ে গিয়েছিলেন আশ্রয়দাতাও। তাই গা–ঢাকা দিয়ে দিন কাটাচ্ছিল। কিন্তু পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তার উপর ভিত্তি করে শুক্রবার বিকেলে বালুরঘাট থানার রাজুয়া এলাকা থেকে ওই বাংলাদেশি যুবককে গ্রেফতার করে। বালুরঘাট থানার পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত বাংলাদেশি যুবকের নাম মহসিন মণ্ডল। বাড়ি বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার পলিপাড়া গ্রামে।
আরও পড়ুন: খাস কলকাতা থেকে উদ্ধার ১৭ জন শিশু শ্রমিক, তাদের দ্রুত হোমে পাঠালো পুলিশ
বিএসএফের নজর এড়িয়ে একের পর এক বাংলাদেশের নাগরিক ঢুকে পড়ায় তাদের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অসম, বাংলা, বিহার এবং মেঘালয় এই রাজ্যগুলি দিয়ে এপারে আসছে বাংলাদেশের নাগরিক। তার সঙ্গে আসছে জঙ্গিরা। বাংলাদেশে এখন অশান্তির বাতাবরণ। তার জেরেও বহু হিন্দু এখানে চলে আসতে চাইছে। সেখানে অনেকদিন ধরেই চোরাপথে সীমান্ত পেরিয়ে এপারে আসতে চাইছিল বাংলাদেশের যুবক। আর তাতে সফল হয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে বালুরঘাটে থাকছিল বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে খবর, বাংলাদেশের এই যুবক বাংলার নানা এলাকায় দিন কাটিয়ে আসার পর এক সপ্তাহ ধরে বালুরঘাট থানার অন্তর্গত রাজুয়া এলাকায় একজনের বাড়িতে গা–ঢাকা দিয়ে ছিল। কিন্তু আশেপাশের লোকজনের সন্দেহ হওয়ায় ফোন করে সে কথা জানিয়ে দেয় থানায়। তখনই পরিকল্পনা করা হয় বাংলাদেশের যুবককে ধরার। বালুরঘাট থানার পুলিশ আজ ওই বাড়িতে অভিযান চালায়। তখনই যুবক মহসিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর বাংলাদেশের নাগরিককে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে বাড়ির মালিক মোক্তার মণ্ডলকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত বাংলাদেশি কোন উদ্দেশ্য নিয়ে ভারতে এসেছিল, কোথায় কোথায় দিন কাটিয়েছে—সব তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। আজ সাংবাদিক বৈঠক করে ডিএসপি হেড কোয়ার্টার বিক্রম প্রসাদ, বালুরঘাট থানার আইসি সুমন্ত বিশ্বাস এই তথ্য জানিয়েছেন।