বালুরঘাটে শিশুর বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধারের ঘটনায় নিহতের এক আত্মীয়কে গ্রেফতার করল পুলিশ। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই নিয়ে এই ঘটনায় গ্রেফতারি বেড়ে হল ৫।
শনিবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিল শহরের একে গোপালন কলোনির বাসিন্দা দীপ হালদার। দীপের মা নেই। বাবা ভিনরাজ্যের শ্রমিক। ঠাকুমার কাছে থাকত সে। তিনি বলেন, প্রতিবেশী যুবক মানস সিং তাকে ঘুড়ি কিনে দেওয়ার নাম করে ডেকে নিয়ে যায়। তার পর থেকে তার আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। শনিবার রাতে নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার। রবিবার মানসকে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে খুনের কথা স্বীকার করে সে। এর পর বাড়ির কাছেই খাল থেকে উদ্ধার হয় ৮ বছরের দীপের দেহ। এর পরই মানস সিং, তার বাবা - মা ও বোনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দেহ উদ্ধার হতেই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় জনতা। এর পর ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ও সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দীপের এক আত্মীয়কে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশের দাবি জেরায় ধৃতরা জানিয়েছে, ঘুড়ি ছিঁড়ে যাওয়ায় আক্রোশে শিশুটিকে খুন করেছে মানস ও তার পরিবারের সদস্যরা। গলার নলি কেটে ও মাথায় ভারী কিছুর আঘাত করে খুন করা হয় তাকে। কিন্তু এই তত্ত্ব মানতে নারাজ পরিবার। তাদের দাবি, দীপকে পাচার করে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। তাই তাকে অপহরণ করেছিল অভিযুক্তরা। কোনও কারণে পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ায় এই কাণ্ড করেছে তারা।