বহরমপুরে তৃণমূলে ফেরাতে ৩ আদিবাসী মহিলাকে দণ্ডি কাটানোর ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে আড়াল করা হচ্ছে। জাতীয় উপজাতি কমিশনকে চিঠি লিখে এমনই অভিযোগ করলেন স্থানীয় সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর অভিযোগ, মূল অভিযুক্ত প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে গ্রেফতার না করে চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা করছে প্রশাসন।
বহরমপুর দণ্ডি-কাণ্ডে সাত দিন পর ব্যাপক চাপের মুখে বৃহস্পতিবার আনন্দ রায় ও বিশ্বনাথ দাস নামে ২ তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর মধ্যে বিশ্বনাথবাবু অভিযুক্ত নেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর ঘনিষ্ঠ। ধৃতদের বিরুদ্ধে উপজাতি নিপীড়ন রোধী আইনে অভিযোগ থাকলেও আদালতে পেশ করে তাদের হেফাজতে পর্যন্ত চায়নি পুলিশ। এর পর তাদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
শুক্রবার জাতীয় উপজাতি কমিশনের সভাপতিকে সুকান্তবাবু লিখেছেন, প্রধান অভিযুক্ত প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে আড়াল করা হচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।
বলে রাখি গত ৬ এপ্রিলের ওই ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামে বিজেপি। গত বুধবার ওই ঘটনায় রাজ্যের রিপোর্ট তলব করে জাতীয় উপজাতি কমিশন। আইনজ্ঞদের মতে, অভিযোগ দায়ের হলেও তার প্রেক্ষিতে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে তা লেখার কোনও উপায় ছিল না পুলিশের কাছে। তাই রিপোর্টে উল্লেখ করার জন্য ৭ দিন পর স্থানীয় ২ তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।