শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরিতে রং খেলার ওপর চাপানো নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিল বন দফতর। বুধবার দিনভর এই নিয়ে তোলপাড়ের পর বৃহস্পতিবার হঠাৎ গায়েব হয়ে যায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে বন দফতরের টাঙানো নির্দেশিকা। এর পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা জানান, নিষেধাজ্ঞা নয়, বনাঞ্চল রক্ষা করতে পর্যটকদের সতর্ক করা হয়েছিল। একই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে বীরভূম জেলা পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, হোলি বা বসন্তোৎসব পালনে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি তারা।
বৃহস্পতিবার বীরবাহা হাঁসদা বলেন, ‘আমরা রং খেলায় কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করিনি। আমরা শুধুমাত্র প্রকৃতিকে বাঁচানোর জন্য সতর্কতা গ্রহণ করেছি। কিন্তু বিজেপি সব কিছুতেই সাম্প্রদায়িকতা খুঁজে পায়। তাই তারা এরকম অভিযোগ করছে। আমরা শুধুমাত্র জঙ্গল রক্ষা করার কথা বলেছি। কারও ইচ্ছা করলে সে রং খেলতেই পারে।’
যদিও মঙ্গলবার সোনাঝুরির হাটে বন দফতরের টাঙানো ব্যানারে লেখা ছিল, ‘সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এখানে রং খেলা, গাড়ি পার্কিং, ভিডিয়োগ্রাফি ও ড্রোন ক্যামেরা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।’
ওদিকে এদিন এক ফেসবুক পোস্টে বীরভূম জেলা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ‘এতদ্বারা জানানো হচ্ছে যে, বীরভূম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বসন্ত উৎসব ও হোলি উদযাপন সম্পর্কে কোনো সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। উৎসব পূর্বের মতোই আনন্দমুখর পরিবেশে উদযাপিত হবে। আমরা সকলকে ভুল তথ্য এড়িয়ে চলার অনুরোধ করছি এবং সঠিক আপডেটের জন্য শুধুমাত্র বিশ্বাসযোগ্য সূত্রের উপর নির্ভর করার আহ্বান জানাচ্ছি। আসুন আনন্দ, সৌহার্দ্য ও পারস্পরিক মর্যাদার সঙ্গে উৎসব উদযাপন করি।’
বিজেপির অভিযোগ ছিল, শুক্রবার বিশেষ সম্প্রদায়ের বিশেষ দিন বলে শান্তিনিকেতনে সোনাঝুরিতে বসন্তোৎসব উদযাপনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বনদফতর। ওদিকে জেলা পুলিশের তরফে সকাল ১০টার মধ্যে রং খেলা সেরে ফেলতে বলে হয়েছে।