মঙ্গলবার বানারহাটে টিকার লাইনে পদপিষ্ট হয়ে আহতরা এখনও চিকিৎসাধীন। এই পরিস্থিতি যাতে আর না ঘটে তার জন্য জরুরি নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বাড়ি বাড়ি কুপন দেওয়ার বিষয়টি সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে। যাকে অনেকে বলছেন ‘দুয়ারে কুপন’। এই আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের সদস্য তথা ধূপগুড়ির প্রাক্তন বিধায়ক মিতালী রায়। কথা বললেন আহতদের সঙ্গে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, এই ঘটনার জন্য ধূপগুড়ির ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং বানারহাটের বিডিও–কে শোকজ করা হয়েছে জেলাশাসকের পক্ষ থেকে। এই ঘটনা কেন ঘটল তা জানতে চাওয়া হয়েছে শোকজে।
মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি জেলার নতুন ব্লক বানারহাটের শালবাড়ি ১, শালবাড়ি ২ এবং সাকোয়াঝোরা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু দেখা যায়, টিকাকেন্দ্রে ব্যাপক চাপ তৈরি হয়েছিল। ভিড়ের চাপে দুর্ঘটনা ঘটে শালবাড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের দুরামারিতে। প্রবল হুড়োহুড়িতে পদস্পিষ্ট হন মোট ২৯ জন। এঁদের মধ্যে ৮ জন মারাত্মক আহত হন বলে খবর।
এখানে প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজ দুটোই দেওয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। তাই সেখানে পুরুষ–মহিলারা ভিড় করেন। পাশের চা–বাগান এলাকা থেকেও মানুষ এসে ভিড় জমাতে শুরু করেন টিকাকেন্দ্রের সামনে। প্রায় দু’হাজার মানুষ রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়েন টিকার আশায়। তাতে ভিড় বেড়ে যায় মারাত্মকভাবে।
এই ভিড় পুলিশ কর্মী আর সিভিক ভলান্টিয়াররা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু স্কুলের গেট খোলা না পেয়ে মানুষ উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তার পর বানারহাট থানার এএসআই–সহ কয়েকজন এসে স্কুলের গেট খুলতেই হুড়মুড়িয়ে মানুষ ঢুকতে শুরু করেন। তাতেই শুরু হয়ে যায় ধ্বস্তাধস্তি। হুড়মুড়িয়ে ঢুকতে গিয়ে একের পর এক পুরুষ–মহিলা মাটিতে পড়ে যান। তাঁদের মাড়িয়েই দেন। বেশ কয়েজন মহিলারা তখন শিশু নিয়ে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন। পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যায়। ঘটনার শুরু হয় বিতর্কও।