বর্ধমান লোকাল থেকে শুরু করে ব্যান্ডেল লোকাল, কাটোয়া লোকাল প্রতিদিনই দেরি করে চলছে। যারফলে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন যাত্রীরা। কোনও ক্ষেত্রে ট্রেন চলছে আধ ঘণ্টা দেরিতে, আবার কোনও তার চেয়েও বেশি লেট। অনেকদিন ধরেই এই সমস্ত ট্রেন লেট করায় নাভিশ্বাস উঠেছে যাত্রীদের। সরকারি, বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের পাশাপাশি স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। যারফলে অফিস বা স্কুল কলেজে পৌঁছতে দেরি হচ্ছে তাদের। অথচ প্রতিদিন প্রতিদিন ট্রেন কেন দেরিতে চলছে সেবিষয়ে রেলের তরফে কোনও রকমের ঘোষণা করা হচ্ছে না বলেই অভিযোগ যাত্রীদের।
আরও পড়ুন: ৩০০ লোকাল ট্রেন বাতিল শিয়ালদা ডিভিশনে! কোন লাইনে কোনটা চলবে না? রইল পুরো তালিকা
পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই লাইনে ব্রিজ তৈরির কাজ চলার কারণে ট্রেন চলাচল কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। তবে দ্রুতই সেই কাজ শেষ হয়ে গেলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, যাত্রীদের ভবিষ্যতে চলাচলের বিষয়টি আরও সুগম করার জন্য এই নতুন ব্রিজ করা হচ্ছে। তবে যাত্রীদের বক্তব্য, হাওড়া স্টেশনের কাছে বেনারস রোডে ওভারব্রিজের দুটি লেন তৈরি হচ্ছে। এরজন্য গত ২১ ডিসেম্বর থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাওয়ার ব্লক রাখা হয়েছে। সেই সময় হাওড়া-ব্যান্ডেল থেকে শুরু করে হাওড়া- শেওড়াফুলিসহ প্রায় ৬০টি লোকাল ট্রেন বাতিল করা। কিন্তু, তারপরেও বর্ধমান, তারকেশ্বর, ব্যান্ডেল, কাটোয়া লোকাল অনিয়মিতভাবে চলছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।
তাদের বক্তব্য, ট্রেন লেট করে চলার কারণে প্রতিটি ট্রেনে ভিড় বাড়ছে। আর ভিড়ের জেরে অনেক ক্ষেত্রে ট্রেনে ওঠায় কার্যত সম্ভব হচ্ছে না। ফলে গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে গিয়ে দেরি হচ্ছে। যাত্রীদের অনেকে যেমন বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন তেমনি অনেকেই চিকিৎসার জন্য বা অন্যান্য কাজে কলকাতায় আসেন। এরমধ্যে বহু যাত্রী রয়েছেন তারা সল্টলেক সেক্টর ফাইভে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করেন। প্রতিদিন এভাবে দেরি হওয়ায় কাজে সমস্যা হচ্ছে বলে অনেকের অভিযোগ। যাত্রীদের অভিযোগ, রেল ব্রিজ তৈরির কথা বলে আগেই অনেক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু, অন্যান্য ট্রেনগুলি কেন অনিয়মিত চলছে তাই নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের বক্তব্য, এর জন্য রেলের তরফে ঘোষণা করা উচিত, অথচ কোনওরকম ঘোষণা না করেই কমবেশি সব ট্রেন লেট করছে।