হেমতাবাদের বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃত্যুর ঘটনায় ডাক দেওয়া বনধ সফল করতে সকাল থেকেই রাস্তায় নেমে পড়েছে বিজেপি। কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে জোর করে সরকারি বাস আটকানো হল। মালদহে আবার সকাল থেকেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিজেপি নেতাকর্মীরা। উত্তরবঙ্গের অধিকাংশ জায়গায় বন্ধ দোকানপাট। শুনশান রাস্তাঘাট।
কোচবিহার
মঙ্গলবার সকাল ছ'টার আগেই বনধের সমর্থনে পিকেটিং শুরু করে বিজেপি। সাড়ে ছ'টা নাগাদ জেলা সভাপতি মালতী রাভার নেতৃত্বে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার কেন্দ্রীয় টার্মিনাসে সরকারি বাস আটকান জেলা গেরুয়া শিবিরের নেতাকর্মীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। তাদের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়। ১৫ জনকে বিজেপি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এছাড়াও জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আরও ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেলায় বনধের মোটামুটি প্রভাব পড়েছে। গোলমালের আশঙ্কায় ভবানীগঞ্জ-সহ শহরের বড় বড় বাজারগুলি বন্ধ রয়েছে। রাস্তাঘাট অন্যদিনের তুলনায় ফাঁকা। বেসরকারি বাস এবং টোটো চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। সরকারি বাস চললেও তাতে যাত্রীর তেমন দেখা মিলছে না।
তারইমধ্যে কোচবিহারের ঘুঘুমারিতে বাসে ভাঙুচর চালান বিজেপি কর্মীরা। মাথাভাঙা থেকে কোচবিহার আসছিল বাসটি। সেই বাসে ভাঙচুর চালান বনধ সমর্থকরা। আরও দুটি বাসে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। কোচবিহার ডিপো থেকে বাস বেরিয়েছিল। বালুরঘাটগামী বাস আটকানো হয়। চালককে হুমকি দিয়ে দলীয় পতাকা লাগিয়ে দেন বিজেপি কর্মীরা। জেলা সভাপতি বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ বনধে বাধা দিচ্ছে পুলিশ।’
আলিপুরদুয়ার
সকাল সাতটা নাগাদ সরকারি বাস আটকান বিজেপি কর্মীরা। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের বচসা বাধে।
মালদহ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে এমনিতেই মালদহের একাংশের গত কয়েকদিন ধরে বাজার, দোকানপাট বন্ধ। তারইমধ্যে বনধের জেরে থমথমে জেলার একাংশ। মালদহ-নালাগোলা রাজ্য সড়কে গাড়ি আটকান বনধ সমর্থনকারীরা। পুরনো মালদহে রাস্তায় পিকেটিং করছে বিজেপি। আটকানো হচ্ছে বাস-গাড়ি। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে অবরোধ করা হয়েছে। গাড়ি আটকানো হচ্ছে। বন্ধ করে দেওয়া মালদহের পোস্ট অফিস। প্রবেশের পথে বিজেপির পতাকা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। গ্রাহকরা সামনে বসে আছেন। যদিও বিজেপির দাবি, দলীয় কর্মীরা সাধারণ মানুষদের বনধ সমর্থনের ‘অনুরোধ’ জানাচ্ছেন, গায়ের জোর ফলানো হয়নি। তবে টোটো, রিকশা চলছে।
জলপাইগুড়ি
ধূপগুড়িতে বনধের আংশিক প্রভাব পড়েছে। সকাল থেকেই মোটের উপর খোলা রয়েছে দোকানপাট। যদিও রাস্তায় হাতেগোনা বেসরকারি বাসের দেখা মিলছে। সরকারি বাস রাস্তায় নামলেও তা অন্যদিনের তুলনায় কিছুটা কম।
এছাড়াও সকাল থেকেই শুনশান শিলিগুড়ি, রায়গঞ্জ, ইসলামপুরের মতো এলাকা। রাস্তায় কার্যত দেখা মিলছে না বাসের। বন্ধ দোকানপাট।
উত্তর দিনাজপুরের ময়নায় অবরোধ, মিশ্র প্র়ভাব, রাস্তায় বসে পড়েছেন। জলপাইগুড়ি - বেলা বাড়তে দোকান খুলেছে। ৯ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। স্টেশন বাজার এবং সংলগ্ন বাজার, দিনবাজারে দোকান খুলছে, রাস্তায় মানুষের সংখ্।া বাড়ছে।
বালুরঘাটে কোনও প্রভাব পড়েনি