সম্প্রতি নবান্নের সভাঘরে বৈঠকে পুরসভাগুলির কাজ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ধমকের পরেই রাজ্যজুড়ে সরকারি জমি দখল, বেআইনি নির্মাণ, পুকুর ভরাটের বিরুদ্ধে তৎপর হতে দেখা গিয়েছে পুলিশ প্রশাসন এবং পুরসভাকে। আর এবার বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কাজে গতি আনল বনগাঁ পুরসভা। জানা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পরেই তৎপরতার সঙ্গে এই কাজ শুরু করেছে পুরসভা। মাটির নিচে পাইপলাইন বসানোর কাজ চলছে জোর গতিতে।
আরও পড়ুন: ‘বেআইনি পার্কিং বেশিরভাগই বিজেপির লোকের’, জমিদারি ভাঙার নির্দেশ দিলেন মমতা
বনগাঁ পুরসভায় ২২টি ওয়ার্ড আছে। সেগুলিতে ‘অম্রুত’ প্রকল্পের অধীনে বাড়িতে বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেয় পুরসভা। এরজন্য মাস খানেক আগেই কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু, মাঝখানে সেই কাজ গতি হারিয়েছিল। ফলে বাসিন্দাদের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছিল। তবে মুখমন্ত্রীর কড়া বার্তার পরেই নড়ে চড়ে বসে পুরসভা। আবার তারা জোর গতিতে কাজ শুরু করে দিয়েছে।
পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ দাবি করেছেন, আগামী তিন মাসের মধ্যেই পুরসভার ৩১০০০ বাড়িতে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। প্রসঙ্গত, বনগাঁয় কাছাকাছি গঙ্গা থাকায় প্রথমে সমস্যা দেখা দিয়েছিল এই কাজে। পরে সিদ্ধান্ত হয় চাকদা থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে বাগদায় গঙ্গার জল মাটির নিচ আনা হবে। পরে সেই জল শোধন করে পাঠানো হবে রিজার্ভারে এবং শেষে রিজার্ভার থেকে জল পৌঁছে দেওয়া হবে বাড়িতে।
জানা গিয়েছে, এই পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য পুরসভার ২২টি ওয়ার্ডকে চারটি বিভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে। প্রতিটি বিভাগে থাকবে একটি করে ওভারহেড রিজার্ভার। পাইপ লাইনের মাধ্যমে পরিশ্রুত জল নিয়ে যাওয়া হবে রিজার্ভারে। ইতিমধ্যেই একটি বিভাগে সেই কাজ শেষ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেখানে প্রায় চার হাজার বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
পুরসভা সূত্রের খবর, এই কাজ ভালোই এগোচ্ছিল। তবে লোকসভা নির্বাচন থাকায় সেই কাজ থমকে ছিল। নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ পেতেই আবার কাজ শুরু হয়েছে জোর গতিতে। এ বিষয়ে বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, তিন মাসের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।তখন ৩১ হাজার বাড়িতে পানীয় জল সরবরাহ করা সম্ভব হবে। প্রতিদিন সকাল এবং বিকেলে জল সরবরাহ করা হবে বলে তিনি জানান।