পৃথক রাজ্যের দাবিতে সরব হওয়া দুই বিজেপি সাংসদ - জন বার্লা, সৌমিত্র খাঁ-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হল বেলঘড়িয়া ও দমদম থানায়। জানা গিয়েছে 'বাংলা পক্ষ'-এর তরফে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিজেপি সাংসদদের পৃথক রাজ্যের দাবির বিরোধিতা করে বাংলা পক্ষের বক্তব্য, 'লড়াই চলবে, রক্ত দেব, কিন্তু বাংলা ভাগ রুখব।' পাশাপাশি লকডাউন উঠলেই বাংলা জুড়ে রাস্তায় নেমে আন্দোলনের কথা জানিয়েছে বাংলা পক্ষ। এদিন বাংলা পক্ষের তরফে অভিযোগ দায়ের করার সময় থানায় উপস্থিত ছিলেন জেলা সম্পাদক পিন্টু রায়, সহেলী চক্রবর্তী এবং জেলা কমিটির অন্য সদস্যরা।
পৃথক রাজ্যের দাবি তুলেছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বারলা। যদিও সাংসদের যুক্তি ছিল, এই দাবি তাঁর নয়। এই দাবি আমজনতার। উন্নয়ন ও সুরক্ষার স্বার্থেই উত্তরবঙ্গের মানুষ দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ঘুচিয়ে আলাদা হয়ে যেতে চান। তাঁরা চান পৃথক রাজ্য অথবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বাসিন্দা হিসাবে স্বীকৃতি পেতে। এই ঘটনার কিছুদিন পরেই নিজের ফেসবুক লাইভে এসে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ এনে জঙ্গলমহলকে পৃথক রাজ্য করার কথা বলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
এরপর থেকেই একাধিক জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের হয়েছে দুই বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে। একাধিক জায়গায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে 'বাংলা পক্ষ'-এর তরফেও। অভিযোগ, সৌমিত্র খাঁ বা জন বারলার এহেন বক্তব্যের জেরে বাংলা জুড়ে অশান্তি ছড়াতে পারে। জঙ্গলমহলেও আবার অশান্তি ছড়াতে পারে। উত্তরবঙ্গেও বিচ্ছিনতাবাদী শক্তি ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে।
এদিকে সাংসদদের এই বঙ্গভঙ্গের দাবি ঘিরে অস্বস্তিতে রয়েছে বিজেপিও। গেরুয়া শিবিরের রাজ্য সভাপতি আগেই জানিয়েছেন, দল পৃথক রাজ্যের দাবি মানে না। এবার দিলীপবাবুর সুরে সুর মিলি শুভেন্দুও বললেন, 'যাঁরা রাজ্য ভাগের প্রস্তাব দিচ্ছেন, সেটা তাঁদের নিজস্ব মতামত। রাজ্য ভাগের পক্ষে ভারতীয় জনতা পার্টির কোনও মত নেই।' তবুও যেন এই বিতর্ক থামছে না।