সীমান্ত পিলার পুনর্নির্মাণেও অসহযোগিতার অভিযোগ উঠল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। কোচবিহারের তিন বিঘা করিডর লাগোয়া তিস্তার চরে বালির নীচে চাপা পড়ে যাওয়া সীমান্ত পিলার পুনর্নির্মাণে ভারতের ডাকে সাড়া দিল না তারা। এর ফলে সমীক্ষার কাজ না করেই ফিরতে হল ভারতীয় আধিকারিকদের। বিষয়টি ইতিমধ্যে পদস্থ আধিকারিকদের জানিয়েছে বিএসএফ ও সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকরা। যার ফলে তিস্তার চরে অরক্ষিত ওই সীমান্ত নিয়ে অনুপ্রবেশ ও পাচারের আশঙ্কা থাকছেই।
কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে তিন বিঘা করিডর লাগোয়া এলাকা দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে তিস্তা নদী। সেখানে দীর্ঘদিন আগে পিলার নির্মাণ করে সীমান্ত চিহ্নিত করেছিল ভারত। তবে নদীর গতিপথ বদলের কারণে সীমান্তও বদলাতে থাকে। বহু জায়গায় নদীর পলি ও বালির নীচে চাপা পড়ে গিয়েছে সীমান্ত পিলার। সেখানে দুদেশের সীমান্ত স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করতে ফের সীমান্ত পিলার চিহ্নিত করার উদ্যোগ নিয়েছে ভারত। সেজন্য সোমবার কলকাতা থেকে সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার ৭ জনের প্রতিনিধিদল কুচলিবাড়ি থানার অন্তর্গত সিংপাড়া ও চাঁদনি সীমান্ত চৌকিতে যান। নেতৃত্বে ছিলেন সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিক ক্ষুদিরাম দাস। সঙ্গে ছিলেন বিএসএফের আধিকারিকরাও। আগে থেকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও সেখানে দেখা যায়নি বাংলাদেশের কোনও আধিকারিককে। যার ফলে সীমান্ত পিলারের অবস্থান নিয়ে কোনও আলোচনা না করেই ফিরতে হয় সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকদের।
বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, বিষয়টি বাংলাদেশের তরফে অসহযোগিতা হিসাবে দেখা হচ্ছে। গোটা ঘটনার কথা বিএসএফের পদস্থ আধিকারিকদের জানানো হবে। তার পর পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবেন তাঁরা।
বাংলাদেশে অরাজকতা ছড়ানোর পর বিভিন্ন জায়গায় বিএসএফকে কাঁটাতারের বেড়া দিতে বাধা দিচ্ছে সেদেশের বাহিনী ও দস্যুরা। এবার সীমান্ত পিলার পুনর্নির্মাণেও অসহযোগিতার অভিযোগ উঠল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে।