ফের প্রচুর সংখ্যক ভারতীয় মৎস্যজীবীকে গ্রেফতার করল বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক জলসীমা লঙ্ঘন করে মাছ ধরার অভিযোগে তাদের প্রথমে আটক ও পরে গ্রেফতার করা হয়। সব মিলিয়ে ১৬ জন মৎসজীবীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৎস্যজীবীদের ট্রলারটিও বাজেয়াপ্ত করেছে বাংলাদেশের নৌবাহিনী। উল্লেখ্য, গত মাসের মধ্যে বহু ভারতীয় মৎস্যজীবীকে আটক করল বাংলাদেশ। এর আগে ৭৯ জনকে আটক করা হয়েছিল। নতুন করে আরও ১৬ জন আটক হওয়ায় সংখ্যা বেড়ে হল ৯৫ জন। এরফলে উৎকণ্ঠায় রয়েছে মৎস্যজীবীদের পরিবার।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে মাছ শিকার, এবার ৪৮ ভারতীয় মৎস্যজীবীকে গ্রেফতার
জানা গিয়েছে, এই ১৬ জন মৎস্যজীবীকে গত ২২ নভেম্বর আটক করা হয়েছিল। বাংলাদেশর নৌবাহিনী সমুদ্রে নজরদারি চালানোর সময় দেশের জলসীমায় অবৈধ গতিবিধি লক্ষ্য করে। এরপরেই অভিযান চালিয়ে ১৬ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে আটক করে নৌবাহিনী। পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে, গত ১৫ নভেম্বর সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য রওনা দিয়েছিল এফবি ঝড় নামক ট্রলারটি। কাকদ্বীপের হারউড পয়েন্ট এলাকা থেকে এটি যাত্রা শুরু করেছিলেন মৎস্যজীবীরা। এরপর ২২ নভেম্বর তাদের আটক করা হয়। ধৃত সব মৎস্যজীবীরা দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে মৎস্যজীবীদের পরিবার। ইতিমধ্যেই মৎস্যজীবীদের ভারতে ফেরানোর বিষয়ে তাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের পরিবারের এই অসহায় অবস্থায় তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে সংগঠন। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, ধৃত মৎস্যজীবীদের ফেরানোর বিষয়ে প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
এবিষয়ে জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত বলেন, বাংলাদেশে ধৃত মৎস্যজীবীদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। রাজ্য সরকার তা দেখছে। তিনি মৎস্যজীবীদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, দেড় মাস আগে সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনী ৭৯ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে গ্রেফতার করেছিল। তারাও সকলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। অভিযোগ, আন্তর্জাতিক জলসীমা পেরিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করার অভিযোগে গত অক্টোবর মাসে প্রথমে ৩১ জন মৎসজীবী ও তারও কিছুদিন পরে ৪৮ জন মৎসজীবীকে গ্রেফতার করেছিল বাংলাদেশ উপকূলরক্ষী বাহিনী । এবার গ্রেফতার হলেন ১৬ জন।