শীতের কুয়াশার সুযোগে সীমান্তে বাড়ছে পাচার ও অনুপ্রবেশের প্রবণতা। তার জেরেই পরপর ২ দিন কোচবিহার সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু হল ২ পাচারকারী। বুধবারের পর বৃহস্পতিবার ভোরেও মৃত্যু হয়েছে এক পাচারকারীর। তবে মৃতের নাম পরিচয় জানা যায়নি। মৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি মোবাইল ফোন ও বাংলাদেশের ২টি সিম।
বৃহস্পতিবার ভোরে কোচবিহারের মাথাভাঙা ১ নম্বর ব্লকের বৈরাগীরহাট এলাকায় সীমান্তে পাচারকারীরা জড়ো হয়েছে বলে খবর পায় পুলিশ। বিএসএফকে খবর দেয় তারা। খবর পেয়ে পাচারকারীদের তাড়া করে বিএসএফ। পালটা আক্রমণ চালায় পাচারকারীরা। তখন ৩ রাউন্ড গুলি চালায় বিএসএফ। তাকে ১ পাচারকারীর মৃত্যু হয়। দিনের আলো ফোটার পরে দেহ উদ্ধার করে মাথাভাঙা হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠায় বিএসএফ।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সাহাদত হোসেন। ছবি দেখে ছেলের দেহ সনাক্ত করেছেন বাবা। নিহত সাহাদত গরু নিয়ে যেতে ভারতে ঢুকেছিল। ভারতীয় সীমান্তের ১২০ গজ ভিতরে তার দেহ উদ্ধার হয়েছে।
বুধবার ভোরে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি পাচারকারীর মৃত্যু হয়েছিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিসেম্বর জানুয়ারি মাসে কুয়াশার সুযোগে বাংলাদেশ সীমান্তে পাচারকারীদের তৎপরতা বাড়ে। গরু ছাড়াও নানা জিনিস বাংলাদেশে পাচার হয়। এমনকী মানুষও পারাপার হয় অবাধে। তবে এবার শীত দেরিতে পড়ায় এখনো তেমন সক্রিয় হতে পারেনি পাচারকারীরা। গত কয়েকদিন উত্তরবঙ্গে কুয়াশার প্রকোপ একটু বাড়ায় মরিয়া হয়ে উঠেছে তারা।