চার মহিলা–সহ ছ'জন বাংলাদেশি বিএসএফের নজর এড়িয়ে ঢুকে পড়েছিল ভারতে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। ছ'জনকেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সোমবার সকালে গাইঘাটার ঠাকুরনগর রেলস্টেশন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। আবার কলকাতা ও আশপাশের থেকে চুরি যাওয়া মোবাইল পাচার হচ্ছে বাংলাদেশে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হাত বদল হওয়ার আগেই ১৩১ টি মোবাইল উদ্ধার করলেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।
পুলিশ সূত্রে খবর, ইচ্ছামতী নদী পেরিয়ে যারা এই দেশে ঢুকেছিল তারা হল — মুস্তাকিন আলি, মিম আখতার, সুমি বেগম, সীমা শেখ, খুশবু শেখ ও সাদ্দাম হোসেন। প্রত্যেকের বাড়ি বাংলাদেশে। জেরায় ধৃতরা জানিয়েছে, কাজের জন্য তারা এই দেশে এসেছিল। কলকাতায় যাওয়ার কথা ছিল। তারা আগেও চেরাপথে এভাবে যাতায়াত করেছে। আর মোবাইল পাচার চক্রে যুক্ত থাকার জন্য ইরফানুর রহমান রুবেল নামে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের বাকুলিয়া থানার যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও ধরা পড়েছে তার সঙ্গী কড়েয়া থানা এলাকার পাম অ্যাভিনিউয়ের বাসিন্দা শেখ সালিম আহমেদ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইলগুলির মধ্যে ৫০ টি চুরি হয়েছিল কলকাতা থেকে। বাকিগুলি কলকাতার আশপাশের অঞ্চল থেকে বলে খবর।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে এই দেশে আসতে দালালদের কয়েক হাজার টাকা দিতে হয়। দালালরা বাংলাদেশিদের নৌকা করে এই দেশে নিয়ে আসে। ধৃতদের কাছে দালালদের দেওয়ার মতো টাকা ছিল না। তাই নিজেরাই নদী সাঁতরে এসেছিল। কারণ পথঘাট সব তাদের চেনা।
এদিকে মোবাইল পাচার চক্রের বিষয়ে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের অফিসাররা পার্ক স্ট্রিট থানা এলাকার মারকুইস স্ট্রিটের একটি হোটেলের উপর নজরদারি শুরু করেন। এক যুবককে হোটেলের সামনে আসতে দেখেন গোয়েন্দারা। কিছুক্ষণ পরই অন্য এক যুবককে দু’টি বড় ব্যাগ নিয়ে এসে তার সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। ব্যাগ দু’টি হাত বদল হওয়ার আগেই তাদের ঘিরে ফেলে গোয়েন্দা পুলিশ। দু’টি ব্যাগ খুলে উদ্ধার হয় চোরাই মোবাইল।
অন্যদিকে বিএসএফ বাগদার উত্তরপাড়া সীমান্ত থেকে এক বাংলাদেশি মহিলা ও এই দেশের এক দালালকে আটক করেছে। পরে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম, নুর নাহার। বাড়ি খুলনা। ধৃত দালালের নাম শেখোয়া রহমান।