জাল নথি দিয়ে পাসপোর্ট করাতে গিয়ে এবার পূর্ব বর্ধমানের কালনায় ধরা পড়ল এক বাংলাদেশি হিন্দু যুবক। ধৃতের নাম পবিত্র মণ্ডল ওরফে প্রবীর। জানা গিয়েছে, ভুয়ো বার্থ সার্টিফিকেট ব্যবহার করে পাসপোর্টের আবেদন করাতে গিয়ে ধরা পড়েছেন পবিত্র। এরই সঙ্গে এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন এক সাইবার ক্যাফের মালিককেও। তাঁর নাম মহম্মদ আজহারুল ইসলাম। আজহারুল কালনারই গোয়ারা এলাকার বাসিন্দা। (আরও পড়ুন: অসমের ৩০০ ফুট গভীর খনিতে ৬ দিনে মিলল ৪ দেহ, এখনও নিখোঁজ বাংলার সঞ্জিত সহ ৫)
আরও পড়ুন: অমৃত ভারতের কাজ চলাকালীন রেল স্টেশনে বড়সড় বিপত্তি, ভেঙে পড়ল বিল্ডিং, আটকে বহু
রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় ৩ বছর আগে পাসপোর্ট ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে এসেছিলেন পবিত্র। এপারে এসে কালনার কৃষ্ণদেবপুরে থাকতেন তিনি। সদ্য ভারতীয় পাসপোর্টের জন্যে আবেদন জানিয়েছিলেন পবিত্র মণ্ডল। সেই পাসপোর্টের ভেরিফিকেশনের সময়ই ধরা পড়েন পবিত্র। ভেরিফিকেশনের সময় পুলিশের কাছে কালনা পুরসভার একটি জন্ম শংসাপত্র জমা দেয় পবিত্র। সেই সার্টিফিকেট দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। এরপরই পুলিশের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হয় কালনা পুরসভায়। জানা যায়, সেই শংসাপত্র জাল। এরপরই পুলিশ আটক করে পবিত্রকে। জানা যায়, কালনার একটি সাইবার ক্যাফের মালিক আজহারুল ইসলাম তাঁকে জাল শংসাপত্র করে দিয়েছেন। এরপরেই পবিত্র এবং আজারুলকে গ্রেফতার করে কালনা থানার পুলিশ। (আরও পড়ুন: রবিবাসরীয় বঙ্গে বজায় থাকবে শীত? পারদের ওঠা-নামায় কেমন ঠান্ডা থাকবে কলকাতায়?)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে একদিনে ১৪৫২ হামলার শিকার সংখ্যালঘুরা, এখনও মামলা হয়েছে ৫৩, ধরা পড়েছে…
শনিবার পবিত্র এবং আজারুলকে কালনা আদালতে পেশ করা হয়েছিল। আদালতের তরফ থেকে দু'জনকেই পাঁচ দিন পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়। এদিকে পবিত্র মণ্ডলের কাছে আধার কার্ড এবং ভোটার কার্ডও আছে বলে জানা গিয়েছে। সেই সব নথি জালিয়াতি করেই তৈরি করা হয়েছে। সেই ক্ষেত্রেও আজহারুলই তাঁকে সাহায্য করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। (আরও পড়ুন: আরও কাছে… শীঘ্রই হবে হ্যান্ডশেক! ডকিং মিশন নিয়ে বড় আপডেট ইসরোর, দেখুন ভিডিয়ো)
পুলিশি জেরায় পবিত্র জানিয়েছেন, তাঁর বাবা-মা এখনও বাংলাদেশেই আছেন। অস্থির পরিস্থিতির আবহে মা-বাবাকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে নিয়ে আসতে চাইছিলেন পবিত্র। এই আবহে তিনি পাসপোর্টের জন্যে আবেদন করেন। সেই পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের সময়ই ধরা পড়েন পবিত্র। ডিআইবির অভিযোগে কালনা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় এবং তদন্ত শুরু হয়। এদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে কালনা পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা কালনার বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ দাবি করেছেন, তাঁর সই ফটোকপি করে এই জাল শংসাপত্র তৈরি করা হয়েছে। এর নেপথ্যে পুরসভার কোনও কর্মী জড়িত নেই বলেও দাবি করেন তিনি। কালনা পুরসভার শংসাপত্রে লেখা রয়েছে, কালনা মহকুমা হাসপাতালে পবিত্র মণ্ডলের জন্ম ২০০৩ সালে। তার শংসাপত্রে সই রয়েছে দেবপ্রসাদ বাগের।