ব্যাঙ্কের সেভিংস অ্যাকাউন্ট থেকে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমের কথা সাম্প্রতিককালে অনেকবারই শোনা গিয়েছে। তবে মনে করা হয় সেভিংস অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে তা থেকে টাকা তোলা সম্ভব হলেও ফিক্সড ডিপোজিটের টাকা হাতানো কার্যত খুবই কঠিন বা অসম্ভব। তবে এমনই ঘটনা ঘটল বর্ধমানের কালনায়। জানা গিয়েছে ২০১৮ সালে করা ফিক্সড ডিপোজিট ভেঙে মেয়ের চিকিত্সার জন্য টাকা তুলতে গিয়েছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী ধীরেন্দ্রনাথ দাস। ২০১৮ সালের ২৯ অগস্ট ২ লক্ষ টাকার একটি ফিক্সড ডিপোজিট করেছিলেন ধীরেন্দ্রনাথ। ২০২৩ সালে ডিপোজিটটি ম্যাচিউর হওয়ার কথা থাকলে প্রয়োজনে পড়ে সেই টাকা তুলতে ব্যাঙ্কের শাখায় হাজির হন তিনি। আর গিয়েই জানতে পারেন যে তাঁর ফিক্সড ডিপোজিটের টাকা ২০২০ সালেই কেউ তুলে নিয়েছে!
ব্যাঙ্ক থেকে এভাবে টাকা কীভাবে উধাও হ, তা নিয়ে হতবাক অবসপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী। বিডিও অফিসের চাকরি থেকে অবসরের পর এককালীন ২ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন ধীরেন্দ্রনাথ। সেই টাকাই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কালনা শাখায় ফিক্সড ডিপোজিট করেছিলেন তিনি। তবে সেই ফিক্সড ডিপোজিটের টাকা গত বছর ২৮ অক্টোবর তাঁর অজান্তে ভাঙানো হয়ে গিয়েছে। এদিকে ধীরেন্দ্রনাথের অভিযোগ, এই সংক্রান্ত কোনও এসমএসও আসেনি তাঁর কাছে।
এদিকে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ব্যাঙ্কে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি গ্রাহক। লিখিতভাবে জানালে ব্যাঙ্কের তরফেও তদন্ত করা হবে। এদিকে এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ধীরেন্দ্রনাথবাবু। তাঁর বক্তব্য, 'রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে টাকাটা রাখলাম, তাতেও যে এমনটা ঘটবে আমি তো দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি। জীবনের সঞ্চয়টুকু ব্যাঙ্কে জমা রেখেছিলাম। এখন মেয়ের চিকিৎসা কীভাবে হবে তাই ভেবে ঠিক করতে পারছি না।' এদিকে অভিযোগ পেয়ে ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ব্যাঙ্কের লোকের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।